Advertisement
০১ মে ২০২৪

চটকল নিয়ে দ্বিতীয় বৈঠকে ডাক বিরোধী শ্রমিক সংগঠনগুলিকে

চকচকা শিল্পতালুকের বন্ধ চটকল নিয়ে সমস্যা সমাধানে শ্রম দফতরের ডাকা দ্বিতীয় বৈঠকে ডাক পাচ্ছেন বিরোধী শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। ৪ ডিসেম্বর কোচবিহার জেলা শ্রম দফতরে ওই বৈঠক হবে।র নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করেন শ্রম দফতরের কর্তারা। গত বৃহস্পতিবার ওই বৈঠক হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:১৬
Share: Save:

চকচকা শিল্পতালুকের বন্ধ চটকল নিয়ে সমস্যা সমাধানে শ্রম দফতরের ডাকা দ্বিতীয় বৈঠকে ডাক পাচ্ছেন বিরোধী শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। ৪ ডিসেম্বর কোচবিহার জেলা শ্রম দফতরে ওই বৈঠক হবে।

প্রথম দফার বৈঠকে মালিকপক্ষ ও আইএনটিটিইউসি নেতাদের নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করেন শ্রম দফতরের কর্তারা। গত বৃহস্পতিবার ওই বৈঠক হয়। তাতে সমস্যার জট না খোলায় ফের দ্বিতীয় দফার বৈঠক ডাকা হয়েছে। শ্রম দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে সিটু ও ইনটাকের নেতাদের উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ করা হচ্ছে।

শ্রম দফতরের কোচবিহারের সহকারি কমিশনার সুমন্ত রায় বলেন, “প্রথমদিন মাত্র দু’ঘন্টা সময়ের ব্যবধানে বৈঠক ডাকতে হয় বলে একাধিক শ্রমিক সংগঠনকে চিঠি পাঠানো যায়নি। ৪ ডিসেম্বরের বৈঠকে আমরা অন্য সংগঠনকেও চাইছি। সোমবার সব শ্রমিক সংগঠনের কর্তাদের চিঠি পাঠানো হবে।”

বৃহস্পতিবার চকচকা শিল্পতালুকের একটি চটকলে কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে গরহাজিরার অভিযোগ তুলে ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্কের’ বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। সমস্যা সমাধানে ওই দিন বিকেলে প্রথম দফার ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। সেখানে সমস্যার জট খোলেনি, উপরন্তু বৈঠকে ডাক না পাওয়ায় বিরোধী সংগঠনগুলির মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। ইনটাকের তরফে অভিযোগও জানানো হয়। শ্রম দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় দফার বৈঠকে বিতর্ক এড়াতে বিরোধী সংগঠনকে ডাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শ্রম দফতরের ওই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিরোধী সংগঠনগুলি।

সিটুর কোচবিহার জেলা সম্পাদক জগতজ্যোতি দত্ত বলেন, “চকচকায় আমাদের সংগঠনের বহু সদস্য আছেন। তারপরেও কেউ হয়তো চায়নি, আমরা প্রথম বৈঠকে থাকি। তবে দ্বিতীয় বৈঠকের আমন্ত্রণ পেলে অবশ্যই যাব। চটকল চালুর ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” ইনটাকের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন রায়ের বক্তব্য, “আমরা দ্রুত ওই চটকল চালুর পক্ষে। ওই শিল্পতালুকে আমাদের সংগঠন রয়েছে। তারপরেও প্রথম বৈঠকে ডাক না পাওয়ায় শ্রম দফতরের কর্তাদের তা জানানো হয়। ৪ ডিসেম্বরে বৈঠকে ডাকা হলে যাব।”

আইএনটিটিইউসির কোচবিহার জেলা সভাপতি প্রাণেশ ধর অবশ্য বলেন, “ওই চটকলের একশো শতাংশ কর্মী আমাদের সংগঠনের সদস্য। আমরা দ্রুত ওই চটকল চালুর দাবি জানিয়েছি। তবে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে অন্য সংগঠনগুলিকে ডাকার সিদ্ধান্তের কথা জানি না। কীসের ভিত্তিতে অন্য সংগঠনকে ডাকা হচ্ছে তা খোঁজ নিচ্ছি।”

চকচকার ওই চটকলের জেনারেল ম্যানেজার আশিস সাহা বলেন, “ওই বৈঠকে সমস্যার সমাধান হবে বলে আমরাও আশা করছি।”

চটকলটিতে প্রায় ৬০০ জন শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের একাংশের বিরুদ্ধে অনিয়মিত হাজিরার অভিযোগে কারখানা কর্তৃপক্ষ কাজ বন্ধ রাখায় বিপাকে পড়েছেন কাজে আগ্রহী বেশিরভাগ শ্রমিক। কাজ বন্ধ থাকায় রীতিমতো আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE