Advertisement
E-Paper

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সামনেই জমে রয়েছে জঞ্জালের স্তূপ

যত্র তত্র ছড়িয়ে রয়েছে পলিথিন ব্যাগ, ফেলে দেওয়া পরিত্যক্ত জিনিসপত্র, বর্জ পদার্থ। গন্তব্যে পৌঁছাতে হলে পা বাঁচিয়ে পরিস্কার জায়গা খুঁজে যেতে হচ্ছে। নাকে রুমাল চাপা দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব এলাকা ছেড়ে যেতে চাইছেন সেখানে আসা লোকজন। ভুল জায়গায় পা ফেললে যথেষ্ট ভোগান্তির আশঙ্কা রয়েছে।

সংগ্রাম সিংহ রায়

শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:০৮
এ ভাবেই জমে আছে জঞ্জাল।—নিজস্ব চিত্র।

এ ভাবেই জমে আছে জঞ্জাল।—নিজস্ব চিত্র।

যত্র তত্র ছড়িয়ে রয়েছে পলিথিন ব্যাগ, ফেলে দেওয়া পরিত্যক্ত জিনিসপত্র, বর্জ পদার্থ। গন্তব্যে পৌঁছাতে হলে পা বাঁচিয়ে পরিস্কার জায়গা খুঁজে যেতে হচ্ছে। নাকে রুমাল চাপা দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব এলাকা ছেড়ে যেতে চাইছেন সেখানে আসা লোকজন। ভুল জায়গায় পা ফেললে যথেষ্ট ভোগান্তির আশঙ্কা রয়েছে। ময়লার এই ছবিটা মালদহের জেলা ক্রীড়া সংস্থার স্টেডিয়ামের সামনের এলাকার। এখানেই রয়েছে ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়ও। তা সত্বেও এলাকা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যপারে ক্রীড়া সংস্থার কর্তারা উদাসীন কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকার বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ীরা। যদিও ঘটনার বিষয়ে চাপান উতোর শুরু হয়েছে ক্রীড়া সংস্থা ও পুরসভার পক্ষ থেকে। তবে দ্রুত এ নিয়ে ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন ক্রীড়া সংস্থার সচিব থেকে এলাকার কাউন্সিলর প্রত্যেকেই।

মালদা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব তথা রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর ভাই শুভেন্দুবাবু এলাকায় ময়লা রয়েছে বলে প্রথমে মানতে চাননি। তিনি জানান, ক্রীড়া সংস্থার ভবনের একটি অংশে নির্মাণ চলছে। সে কারণে এলাকাটি অবিন্যস্ত অবস্থায় রয়েছে। তাতে জায়গাটিকে নোংরা বলে মনে হচ্ছে। তা কয়েকদিনের মধ্যে সাফ হয়ে যাবে। পরে অবশ্য তিনি বলেন, “আজ সোমবার পুরসভা খুললেই আমি এলাকা পরিস্কারের ব্যপারে অভিযোগ জানাব।” এলাকাটি ইংরেজবাজার পুরসভার যে ওয়ার্ডে পড়ে, সেই ওয়ার্ডের বাসিন্দা তৃণমূলেরই জয়ন্ত চৌধুরী অভিযোগ করেন তাঁকে ওই বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি বলে। তিনি বলেন, “এলাকাটি আমার ওয়ার্ডে পড়লেও ওই এলাকার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব জেলা ক্রীড়া সংস্থারই। তবে কোনও সমস্যা থাকলে আমাদের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন তাঁরা।” অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখে যা সাহায্য প্রয়োজন তা করা হবে বলে জানান তিনি। পদাধিকার বলে মালদা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি জেলাশাসক। বর্তমান জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে এ বিষয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

প্রধান প্রবেশ পথের মুখেই ছড়িয়ে রয়েছে আবর্জনা। এখানে প্রতিদিন বিভিন্ন খেলার খেলোয়াড়রা আসেন। তাদের সঙ্গে আসেন অভিভাবকেরাও। এমনই এক অভিভাবক জানালেন, তাঁর ছেলে জেলা অনূর্দ্ধ-১৬ ক্রিকেট দলের সদস্য। তিনি বলেন, “এভাবেই দিনের পর দিন চলছে। এলাকায় পা রাখতে গা গুলোয়। কাকে কী বলব? ছেলে জেলা দলে রয়েছে। কিছু বললে ছেলের প্রতি অবিচার হতে পারে।” এলাকার এক ব্যবসায়ী বলেন, “এলাকায় নিয়মিত সাফাই হয় না। প্রধান সড়ক নিয়মিত ঝাড়পোঁছ করে সাফসুতরো রাখা হলেও অজ্ঞাত কারণে সাফ হয় না লাগোয়া ক্রীড়া সংস্থার রাস্তা। অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয় না।”

sangram sinha roy malda garbage
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy