Advertisement
E-Paper

জলপাইগুড়ি পুরসভায় অনাস্থা প্রস্তাব

কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট কাউন্সিলররা জোট বেঁধে চার মাস আগে তৃণমূলে যোগ দেওয়া জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন। মঙ্গলবার দুই দলের ১৫ জন কাউন্সিলর পুরবোর্ড সংখ্যালঘু বলে অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠি চেয়ারম্যানকে দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ০২:২১

কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট কাউন্সিলররা জোট বেঁধে চার মাস আগে তৃণমূলে যোগ দেওয়া জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন। মঙ্গলবার দুই দলের ১৫ জন কাউন্সিলর পুরবোর্ড সংখ্যালঘু বলে অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠি চেয়ারম্যানকে দেন। পুরসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলরদের ওই সিদ্ধান্তের ফলে নির্বাচনের ছয় মাস আগে পুরসভা সঙ্কটের মুখে পড়ল বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান। ২০১৫ সালের মে মাসে পুরসভার নির্বাচন। পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু দাবি করেন, “ভোটের আগে ছ’মাস সময় আছে। এই সময় অনাস্থা প্রস্তাব আনা যায় কি না সেটা রাজ্য সরকার দেখবে।”

মোহনবাবুর অভিযোগ, “এদিনের ঘটনায় প্রমাণ হল সিপিএমকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে কংগ্রেস কতটা তত্‌পর।” যদিও অভিযোগ উড়িয়ে পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা দলের জেলা সভাপতি নির্মল ঘোষ দস্তিদার পাল্টা বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগ থেকে নিজেকে বাঁচাতে মোহনবাবু তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তিনি মনে করেছিলেন অন্য সদস্যদের কিনে ফেলবেন। সেটা পারেননি। সংখ্যালঘু বোর্ড চলছে। নাগরিক পরিষেবার স্বার্থে বাম কাউন্সিলরদের সঙ্গে আমরা অনাস্থা প্রস্তাব এনেছি।”

২৫ আসনের ওই পুরসভায় কংগ্রেসের দখলে ছিল ১৬টি আসন। বামফ্রন্ট ৮টি এবং তৃণমূল ১টিতে ছিল। ১ জুলাই পুরসভার ছয়জন কংগ্রেস কাউন্সিলরকে নিয়ে মোহনবাবু তৃণমূলে যোগ দেন। আরও তিন কংগ্রেস কাউন্সিলর তৃণমূলে যান। তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ জন। ৭ কংগ্রেস সদস্য ও ৮ জন বামফ্রন্ট সদস্য বিরোধী শিবিরে।

পুরসভা সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট হলে পুরসভা তৃণমূলের হাত ছাড়া হবে। তাই অনাস্থার চিঠি পেয়ে চেয়ারম্যান অনুগামী কাউন্সিলরদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন। পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের প্রমোদ মণ্ডল বলেন, “সব দিক দেখেই অনাস্থা আনা হয়েছে। পুর আইনে সব বলা আছে।”

jalpaiguri municipality no confidence motion congress left
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy