Advertisement
E-Paper

তিরিশ বছরের লিজ-এ স্টল বিলি বিধাননগরে

বিধাননগর আনারস কেন্দ্রে ব্যবসায়ীদের সুলভে স্টল বিলি করা হল। সোমবার শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবসায়ীদের হাতে ৩০ বছরের লিজে স্টল দেওয়ার চুক্তিপত্র তুলে দেন। তবে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের থেকে আনারস কেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তা সরু হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এখনই ওই কেন্দ্রে কারবার শুরু করছেন না।

সৌমিত্র কুণ্ডু

শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৪ ০৪:৫৬
আনারস কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে এক চাষির দেওয়া আনারস দেখছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র।

আনারস কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে এক চাষির দেওয়া আনারস দেখছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র।

বিধাননগর আনারস কেন্দ্রে ব্যবসায়ীদের সুলভে স্টল বিলি করা হল। সোমবার শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবসায়ীদের হাতে ৩০ বছরের লিজে স্টল দেওয়ার চুক্তিপত্র তুলে দেন। তবে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের থেকে আনারস কেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তা সরু হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এখনই ওই কেন্দ্রে কারবার শুরু করছেন না। কেন না কম চওড়া ওই রাস্তা দিয়ে আনারস কেন্দ্রে গাড়ি যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। সে কারণে রাস্তা চওড়া করার আবেদনও করেন ব্যবসায়ীরা। অনুষ্ঠান মঞ্চে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “জাতীয় সড়ক থেকে আনারস কেন্দ্রে যাতায়াতের ওই রাস্তা অন্তত ৫০ ফুট চওড়া করা হবে। তা ছাড়া রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কোনও সংস্থাকে দেওয়া হবে। তার জন্য দরপত্র ডাকা হয়েছে। আইএলএফএস নামে একটি সংস্থা পুরো প্রক্রিয়াটি দেখছে। এই কেন্দ্র থেকেই আনারস ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত কারবার শুরু করতে পারেন সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

এই আনারস কেন্দ্রে ৯৬টি স্টল রয়েছে। এক একটি স্টল ৩৪৮ বর্গফুট। এ দিন ৫৮ জনের হাতে লিজে দোকান নেওয়ার চুক্তিপত্র তুলে দেওয়া হয়। এক একটি দোকান পেতে ব্যবসায়ীদের ২৫ হাজার টাকা করে দিতে হয়েছে। কারবার শুরু হলে বিক্রির উপর ১ শতাংশ টাকাও তারা এসজেডিএ কর্তৃপক্ষকে দেবেন দেখভালের জন্য। ১৬ জন ব্যবসায়ী দুটি করে স্টল নিয়েছেন বাকিরা একটি করে। ব্যবসায়ীরা জানান, এলাকায় অন্তত ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে আনারস উৎপন্ন হয়। তা ছাড়া লাগোয়া বিহারের দিকেও বর্তমানে আনারসের চা, বেড়েছে। ওই উৎপাদন বিধাননগরের পাইকারি বাজার থেকে বিক্রেতারা কিনে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান।

এ দিন মন্ত্রীর হাত থেকে দোকানের লিজের চুক্তিপত্র হাতে পেয়ে খুশি নিখিল দাস, বিশ্বজিৎ সরকার, হরেকৃষ্ণ মণ্ডল প্রশান্ত ঘোষদের মতো আনারস ব্যবসায়ীরা। নিখিলবাবু বলেন, “ফুটপাথে দোকান সাজিয়েই ব্যবসা করতে হয়। কেন্দ্রে দোকান পাওয়ায় অনেক উপকার হল। আশা করি দ্রুত এখানে কারবার শুরু করতে পারব।” বর্তমানে বিধাননগর থানার কাছে একটি বেসরকারি জায়গায় ব্যবসায়ীরা দোকান ভাড়া নিয়ে কারবার করেন। আনারস ব্যবসায়ী নৃপেন দাস, মলিন শীলশর্মারা জানান, যেখানে বর্তমানে আনারস ব্যবসায়ীদের কারবার করতে হচ্ছে সেখানে শৌচালয় নেই, বাইরে থেকে আসা ব্যবসায়ীদের থাকার জায়গা নেই। পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই। ছয় মাস ব্যবসা করতে কাউকে ৩০ হাজার টাকা কাউকে ৪০ হাজার টাকা ভাড়া গুনতে হয়। ছোট ব্যবসায়ী সকলের পক্ষে তাই সেখানে কারবার করা সম্ভব হচ্ছিল না। বিধাননগর আনারস ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি কাজল ঘোষ বলেন, “আনারস কেন্দ্রে স্টল বিলি হওয়ায় আমরা খুশি। রাস্তা চওড়ার কাজ দ্রুত করা হলে ব্যবসায়ীরা কারবার শুরু করতে পারবেন।”

soumitro kundu lease pineapple centre in bidhannagore
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy