Advertisement
E-Paper

তোলা না দেওয়ায় ট্রাক চালককে রাস্তায় ফেলে মার, অভিযুক্ত পুলিশ

দাবিমত তোলা না দেওয়ায় বালি বোঝাই এক ট্রাক চালককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে এর প্রতিবাদে ফাঁড়ি ঘেরাও করে বাসিন্দাদের বিক্ষোভে তেতে উঠল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকাবাজার ফাঁড়ি এলাকা। মারধরে গুরুতর আহত ওই ট্রাক চালককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:১৭

দাবিমত তোলা না দেওয়ায় বালি বোঝাই এক ট্রাক চালককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে এর প্রতিবাদে ফাঁড়ি ঘেরাও করে বাসিন্দাদের বিক্ষোভে তেতে উঠল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকাবাজার ফাঁড়ি এলাকা। মারধরে গুরুতর আহত ওই ট্রাক চালককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। তিন ঘন্টা ধরে ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভের পর পুলিশকর্তাদের আশ্বাসে বিকাল ৫টায় ঘেরাও তুলে নেন বাসিন্দারা।

পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক এনভিএফ কর্মীকে থানায় ক্লোজ করা হয়েছে। পাশাপাশি ফাঁড়ির ইনচার্জের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। তোলার অভিযোগ অস্বীকার করে ট্রাক চালককে মারধরের কথা স্বীকার করা হলেও পালোনোর সময় ট্রাকের ধাক্কায় এক পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে। মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক মোদী বলেন, “এক ট্রাক চালককে মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এদিন সকাল থেকে ফাঁড়ির ওসির নেতৃত্বে পুলিশকর্মীরা এলাকায় গাড়ি থামিয়ে তোলা আদায় করছিলেন। পুলিশের স্টিকার লাগানো ফাঁড়ির ওসির ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি নিয়ে যানবাহন আটকে তোলা আদায় করা হচ্ছিল। দুপুরে বালি বোঝাই ট্রাক নিয়ে মালদহের দিক থেকে হরিশ্চন্দ্রপুরের গোবরাহাটে যাচ্ছিলেন ট্রাকচালক আবু বরকত। ট্রাকটি থামানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পর ট্রাকটি ফের চলে যেতে থাকে। সেই সময় পুলিশ কর্মীরা বাইক নিয়ে তাড়া করে ট্রাকটি আটকে চালককে নামিয়ে মারধর করেন।

চালক জ্ঞান হারিয়ে ফেললেও কয়েকজন পুলিশ কর্মী তাঁকে নিয়ে গিয়ে ভালুকাবাজার হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। জ্ঞান ফেরার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের বিষয়টি জানান ট্রাক চালক। শুরু হয় বিক্ষোভ। ফাঁড়ি ঘেরাও করে দেওয়া হয়। ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সনৎ বিশ্বাস হাসপাতালে গেলে তাকে একটি ঘরে আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন বাসিন্দাদের একাংশ। বিক্ষোভ চলার সময় সেখানে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি বাবিন মুখোপাধ্যায়। আইসি বলেন, “ফাঁড়ির ওসি-সহ এনভিএফ কর্মীর বিরুদ্ধে বিস্তারিত রিপোর্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।” অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফাঁড়ির ইনচার্জ সনৎ বিশ্বাসও। তিনি বলেন, “তোলা চাওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। আমি কাউকে মারধর করিনি।”

chanchal police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy