Advertisement
E-Paper

দেখা মিললেও গ্রেফতার হচ্ছে না অভিযুক্তেরা, ক্ষোভ

দীপঙ্কর রায়ের খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনকুমার রাইকে ঘটনার ১৫ দিন পরেও গ্রেফতার করতে না পারায় এলাকায় ক্ষোভ দানা বাঁধছে। নিহতের আত্মীয় এবং এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার ফলেই অপরাধীদের গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। অভিযুক্তদের কয়েকজনকে এলাকায় রাতের দিকে দেখা গেলেও পুলিশের নজরে কেন তা পড়ছে না তা নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:১০

দীপঙ্কর রায়ের খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনকুমার রাইকে ঘটনার ১৫ দিন পরেও গ্রেফতার করতে না পারায় এলাকায় ক্ষোভ দানা বাঁধছে। নিহতের আত্মীয় এবং এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার ফলেই অপরাধীদের গ্রেফতার করা যাচ্ছে না।

অভিযুক্তদের কয়েকজনকে এলাকায় রাতের দিকে দেখা গেলেও পুলিশের নজরে কেন তা পড়ছে না তা নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। যদিও শিলিগুড়ি পুলিশের এসিপি (ইস্ট) পিনাকী মজুমদার বলেন, “সবে দায়িত্ব নিয়েছি। ফেরার অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।” ঘটনার দিনই অভিযোগ দায়ের হওয়ার আগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। দু’দিন পরে আরও একজনকে গ্রেফতার করে ভক্তিনগর থানার পুলিশ। তারপরে অবশ্য ১২ দিন কেটে গেলেও আর একজনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এমনকী মূল অভিযুক্ত মনকুমারের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া সহ জাতীয় সড়ক অবরোধ ও অগ্নি সংযোগের ঘটনাতেও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।

৪ জানুয়ারি, রবিবার শিলিগুড়ির সেবক রোড লাগোয়া মহানন্দা নদীর চর থেকে উদ্ধার হয় সেবক রোডেরই সরকারপাড়ার বাসিন্দা দীপঙ্কর রায়ের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এলাকাবাসীর মধ্যে। ভক্তিনগর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় মৃতের পরিবার ও স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। খুন হওয়া যুবক ও যাঁরা তাঁকে খুন করেছেন তাঁদের সকলেই তৃণমূল কর্মী সমর্থক বলে জানা গিয়েছে। মূলত সিণ্ডিকেট ব্যবসা ও তাঁর আড়ালে মাদকের কারবারে জড়িয়ে পড়েই ওই যুবক খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ। ঘটনার পরে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ দেখা যায়। জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আগুন লাগিয়ে দেন উত্তেজিত তৃণমূল সমর্থকরা। পুড়িয়ে দেওয়া হয় খুনে মূল অভিযুক্ত মনকুমারের বাড়ি ও সিণ্ডিকেটের অফিস। ঘণ্টাখানেক তাণ্ডবের পর র্যাফ নামলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ঘটনার পর থেকে চারজনকে গ্রেফতার করা হলেও আর তিনজন পলাতক। পুলিশের কয়েকজন এই সিন্ডিকেট ব্যবসার সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছিল। এমনকী অনেক পুলিশ কর্মীরাই এ কথা গোপনে স্বীকারও করেছেন। কারা এর সঙ্গে জড়িত তা জানতে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছিল বলে পুলিশ কমিশনার জগমোহন নিজেই জানিয়েছিলেন। তারপর বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে। ঘটনার সময় এসিপি (ইস্ট) এর দায়িত্বে ছিলেন এসিপি (ডিডি) তপন আলো মিত্র। তদন্তের মাঝপথে এসিপি (ইস্ট) পদে আনা হয় পিনাকী মজুমদারকে। পিনাকীবাবু অবশ্য দ্রুত সমস্যার সমাধানের ব্যপারে আশাবাদী।

dipankar murder case suspects not arrested siliguri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy