ধূপগুড়িতে মারমুখী দু’দলের সমর্থকদের সামলাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা।
পার্টি অফিস পুনর্দখল করাকে কে কেন্দ্র করে সিপিএম ও তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ৬ জন জখম হয়েছেন। দু’পক্ষের ঢিল ছোড়াছুড়িতে পুলিশের জিপের কাচ ভেঙে যায় পুলিশের জিপ চালক জখম হয়েছেন। জখম কর্মীদের মধ্যে পাথরের আঘাতে তিন জনের মাথা ফেটে যায়। তাঁদের ধূপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাবার পর প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র তৃণমূলের তরফে ধূপগুড়ি থানায় ২৩ জন সিপিএম কর্মীর নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জলপাইগুড়ির ডি এস পি প্রভাত চক্রবর্তী বলেছেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। নতুন করে যাতে গণ্ডগোল না হয়, এলাকায় পুলিশি টহলদারি চলছে।” পুলিশের জিপের কাচ ভাঙার বিষয় তিনি জানেন না বলে জানান।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোট পাড়া গ্রামে। গত ১৮ মে লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি আসনে জয়লাভ করাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তৃণমূলের তরফে কয়েকশো সমর্থক বিজয় মিছিলে সামিল হন। সন্ধ্যায় গ্রামের রেল লাইন লাগোয়া সিপিএম-এর পার্টি অফিসের ঝাণ্ডা খুলে অফিসের পাকা দেওয়ালে সবুজ রঙ করা হয় বলে অভিযোগ। অফিস টি দখল হয়ে যায়। ওই ঘটনার পর সে সময় এলাকায় অশান্তি না থাকলেও সিপিএম-এর পক্ষে বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
নীচে ঢিলে কাচ ভাঙল পুলিশের গাড়ির। সোমবার ছবি দু’টি তুলেছেন রাজকুমার মোদক।
সোমবার ভোরে জনা পঞ্চাশেক সিপিএম কর্মী সমর্থক ফের পার্টি অফিস থেকে তেরঙ্গা ঝাণ্ডা খুলে লাল ঝাণ্ডা টাঙিয়ে দেয়। ওই ঘটনার পর এলাকা জুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। মারমুখী দু দলের কর্মী সমর্থকরা লাঠি নিয়ে জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে ধূপগুড়ি থানার পুলিশকর্মীরা মারমুখী দু’দলের কর্মী সমর্থককে শান্ত করার চেষ্টা চালায়। দু তরফে ঢিল ছোঁড়া শুরু হয়ে যায়। কয়েক জন জখম হন। পুলিশের জিপের কাচ ভেঙে যায় জিপ চালক দুলাল সরকারের মাথায় পাথর লাগে। ধূপগুড়ির থানার আই সি যুগল বিশ্বাস বলেন, “কেউ জখম হননি।”
সিপিএম-এর ধূপগুড়ি জোনাল কমিটি নেতা সঞ্জিত দে জানান, পুলিশ তৃণমূলের কথায় চলছে। ধূপগুড়ি ব্লক তৃণমূল নেতা গুড্ডু সিংহ বলেছেন, “অন্যের পার্টি অফিস দখল করা আমাদের নীতি বিরুদ্ধ। সিপিএম যে ভাবে আক্রমণ চালিয়েছে তা মানা যায় না বলে গুড্ডু সিংহের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy