Advertisement
০৪ মে ২০২৪
মুকুলের হস্তক্ষেপে নাম চূড়ান্ত

নয়া জেলা পরিষদে সভাধিপতি মোহন

আলিপুরদুয়ারের জেলা পরিষদের সভাধিপতি কে হবেন, তা নিয়ে শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়কেই। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মোহন শর্মা না অতুল সুব্বা, সভাধিপতির পদে কে বসবেন, তা নিয়ে জটিলতা থাকায় রবিবারই আলিপুরদুয়ার চলে এসেছিলেন মুকুলবাবু। জট ছাড়াতে শহরের একটি হোটেলে রবিবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত কয়েক দফায় জেলা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি।

মুকুল রায়ের সঙ্গে জেলা সভাধিপতি মোহন শর্মা। নিজস্ব চিত্র।

মুকুল রায়ের সঙ্গে জেলা সভাধিপতি মোহন শর্মা। নিজস্ব চিত্র।

নিলয় দাস
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৪ ০১:২৫
Share: Save:

আলিপুরদুয়ারের জেলা পরিষদের সভাধিপতি কে হবেন, তা নিয়ে শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়কেই। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মোহন শর্মা না অতুল সুব্বা, সভাধিপতির পদে কে বসবেন, তা নিয়ে জটিলতা থাকায় রবিবারই আলিপুরদুয়ার চলে এসেছিলেন মুকুলবাবু। জট ছাড়াতে শহরের একটি হোটেলে রবিবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত কয়েক দফায় জেলা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সময়ে সভাধিপতির নাম চূড়ান্ত করার ভার সদস্যদের উপরেই ছেড়ে দেন মুকুলবাবু। এক ঘণ্টা সময় দেন। তবে কেউই সহমত হতে না পারায় ফের সকলকে নিয়ে বৈঠকে বসেন মুকুলবাবু। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ দলের সদস্যদের কাছে সভাধিপতি এবং সহ সভাধিপতির নাম জানিয়ে দেন। সভাধিপতি হলেন মোহন শর্মা। সহ সভাধিপতি নির্বাচিত হয়েছেন অতুল সুব্বা।

তবে এই জেলা পরিষদে তৃণমূলের টিকিটে ভোটে জেতা সদস্যের সংখ্যা মাত্র ১। তবুও ১৮ আসনের আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদে দশ জনকে নিয়ে এ দিন বোর্ড গঠন করল তৃণমূল। মোহনবাবু ও অতুলবাবুও দু’জনেই গত পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেসের হয়ে জিতে, পরে তৃণমূলে যোগ দেন। এভাবেই মোট ১০ জন সদস্য হয়ে যায় তৃণমূলের। সভাধিপতি ও সহ সভাধিপতি ছাড়াও জেলা পরিষদে কর্মাধ্যক্ষের পদ রয়েছে অনেকগুলি। তৃণমূলের বাকি ৮ সদস্য-সদস্যাই কর্মাধ্যক্ষ হচ্ছেন বলে দল সূত্রের খবর।

জেলা পরিষদ দখলের যাবতীয় কৃতিত্ব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীকে দিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব। দল সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সৌরভবাবুকে ফোন করে জেলা পরিষদের মাধ্যমে টানা উন্নয়নের কাজ যাতে হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সৌরভবাবু বলেন, “আলিপুরদুয়ারের উন্নয়নে সব রকম সহযোগিতা করছেন মুখ্যমন্ত্রী।”

এ দিন বোর্ড গঠনের সভায় প্রথমে সভাধিপতি আসনের জন্য ভোটাভুটি হয়। সভাধিপতি নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী মোহনবাবু ১০টি ভোট পাওয়ার পরে বাম সদস্যরা ওয়াক আউট করেন। বামেদের এক সদস্য আরএসপি-র জসিন্তা লাকড়া এদিন ভোটাভুটিতে যোগ দেননি। তৃণমূলের দাবি, ওই বাম সদস্য অনুপস্থিত থেকে তাদেরই সমর্থন করেছেন। সিপিএমের জেলা পরিষদ সদস্য শুক্লা ব্রহ্ম ঘোষ এ দিন ফের অভিযোগ করেন, “প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ঘোড়া কেনাবেচা হয়েছে। এভাবেই তৃণমূল জেলা পরিষদ দখল করেছে। সে কারণেই ওয়াকআউট করেছি।”

এ দিন সকালে হোটেলের লবিতে বসেই জেলা পরিষদের ভোটদান পর্বের খবরাখবর নেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। পরে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আলিপুরদুয়ারকে জেলা ঘোষণা করে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করেছেন। ৩৫ বছর ধরে আলিপুরদুয়ার অবহেলিত ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে সামিল হওয়ার জন্য মানুষের চাপে বিভিন্ন দলের সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE