খালি বাড়িতে পড়ে থাকা পচাগলা ঝুলন্ত মৃতদেহ বার করতে এলাকাবাসীর কাছে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল প্রধাননগর থানার তিনজন পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। বাসিন্দারা টাকা দিতে না চাওয়ায় দেহটি প্রায় চার ঘন্টা ফেলে রাখা হয় বলেও অভিযোগ। পরে এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা তৃণমূল নেতা সঞ্জয় পাঠকের হস্তক্ষেপে পুলিশ দেহটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যায়। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির প্রধাননগর থানার দক্ষিণ আম্বেদকর কলোনিতে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, “ওই পুলিশ কর্মীরা ডোম, অ্যাম্বুল্যান্স খরচের জন্য সাড়ে তিন হাজার টাকা দাবি করেন। পুলিশের খাতে এর জন্য কোনও বরাদ্দ নেই বলেও জানান।”
শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি (সদর) অংমু গ্যামসো পাল বলেন, “ওই কর্মীরা বেআইনি কাজ করেছেন। প্রয়োজনে পুলিশের ভ্যানেই মৃতদেহ তোলার কথা। তদন্ত হবে। প্রয়োজনে ওই পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সঞ্জয়বাবু বলেন, “খবর পেয়ে এলাকায় যাই। পচা গন্ধে বাসিন্দাদের সমস্যা বাড়ছিল। পুলিশের সঙ্গে কথা বলার পর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
স্থানীয় বাসিন্দা রামচন্দ্র পণ্ডিত, সুশান্ত ঘোষেরা জানান, এলাকার কয়েক জন দেহটি দেখার পর দুপুর একটা নাগাদ একজন এএসআই-সহ তিন পুলিশ কর্মী আসেন। দেহ নিতে সাড়ে তিন হাজার টাকার লাগবে বলে দাবি করেন। বাসিন্দাদের চাঁদা তোলার পরামর্শও দেন। এর পরেই প্রাক্তন কাউন্সিলরকে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতের নাম নরেশ মল্লিক (৪৫)। দেহটি বাড়ির ভিতরের বারান্দায় ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। পেশায় তিনি হোটেল কর্মী ছিলেন। তিনি মাঝেমধ্যেই মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীকে মারধর করতেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি এই নিয়ে পুলিশে অভিযোগও হয়েছিল। একমাত্র মেয়ে বিয়ে হয়ে গিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় নরেশবাবুর স্ত্রী বীণাদেবী বাপের বাড়ি বাগডোগরায় চলে যান। তার পর থেকে নরেশবাবু একাই ছিলেন। পুলিশের অনুমান, দু’তিন দিন আগে নরেশবাবু মারা গিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy