Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

ফের অচলাবস্থা হিমূলে, বন্ধ বেতন

শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার হিমালয়ান কো অপারেটিভ মিল্ক ইউনিয়ন লিমিটেড (হিমুল) এর বন্ধ কারখানা খুলতে নবান্নের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। বৈঠক করে তড়িঘড়ি প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে পরিষেবা। হিমুলের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক পেম্বা শেরিং শেরপাও পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৪ ০০:২৫
Share: Save:

শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার হিমালয়ান কো অপারেটিভ মিল্ক ইউনিয়ন লিমিটেড (হিমুল) এর বন্ধ কারখানা খুলতে নবান্নের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। বৈঠক করে তড়িঘড়ি প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে পরিষেবা। হিমুলের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক পেম্বা শেরিং শেরপাও পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন। যদিও বাস্তবে, ঘোষণার পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। এমনকী শেষ দুমাসের বেতনও পাননি কর্মীরা বলে অভিযোগ তুলে জেলাশাসক পুনীত যাদবের সঙ্গে শুক্রবার দেখাও করেন হিমুল কর্মীরা। যদিও এত কিছুর পরেও হিমুল পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তা নিয়ে পরিস্কার কোনও ধারনা নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী থেকে কার্যনির্বাহী আধিকারিকের। হিমুলের এই অবস্থার জন্য অবশ্য রাজ্য সরকারের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন বিরোধীরা। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলব। কিন্তু নির্বাচনের কারণে কথা বলা যাচ্ছে না। যা করার ভোটের পরে করতে হবে।”

হিমূল সূত্রের খবর, বিহার ও কলকাতার বিভিন্ন দুধ উৎপাদন কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা একটা করা হয়েছিল। বিহার থেকে বিকেলে সামান্য পরিমাণ দুধ আনা হয়েছিল ৫ মার্চ পর্যন্ত। এক কর্মী রামকুমার রায় অভিযোগ করেন, “প্যাকেট জাত হয়ে বাজারে যাচ্ছে না দুধ। সে কারণে যোগান বন্ধ করে দিয়েছে ওই সংস্থা।” জানা গিয়েছে, শনিবারও অবশ্য এক ট্যাঙ্কার দুধ এসেছে হিমুলে। তার পরিমাণ সাড়ে ১৫ হাজার লিটার। তাতে যদিও দু-তিন দিনের বেশি কাজ হবে না বলে কর্মীরা মনে করছেন। হিমুলের কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা শিলিগুড়ির অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, “দুধ জীবাণু মুক্ত করার যন্ত্র খারাপ হয়ে আছে। আপাতত যা দুধ আছে তাতে তিনদিনের বেশি চলবে না। সরকারি তহবিলের টাকা না পেলে কিছু করার নেই।”

প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “৬৩ কোটি টাকা খরচ করে উত্তরকন্যা হয়েছে। হিমুলের বকেয়া আড়াই কোটি টাকার ব্যবস্থা করা যেত না? তা হলে সংস্থাটি বাঁচত।” প্রাক্তন পুরমন্ত্রীর অভিযোগ, উত্তরবঙ্গের গর্ব ‘হিমূল’কে বাঁচানোর জন্য প্রকৃত উদ্যোগী হননি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী।” দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা ওই এলাকার বিধায়ক শঙ্কর মালাকারও চান, হিমূল দ্রুত চালু হোক। তিনি বলেন, “হিমুলকে বাঁচাতে হবে। সে কাজটা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীকে করতে হবে। না হলে মনে হতে পারে, সংস্থাটি তুলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।” যদিও কর্মীরা দাবি করছেন, বেতন নয়, সংস্থাটিতে উৎপাদন নিয়মিত করা হোক। তা হলেই তাঁরা লাভের পয়সা থেকে বেতন নেবেন। আপাতত ৫০ লক্ষ টাকা হলে নিয়মিত উৎপাদন করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন কর্মীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

himul siliguri dairy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE