ফের বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন লাগোয়া এলাকায় বিজেপির ওয়ার্ড কাযার্লয়ে ঘটনাটি ঘটেছে বলে দলীয় নেতৃত্বের দাবি। নিউ জলপাইগুড়ি ফাঁড়িতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে কারও নাম করা হয়নি। তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রাত পর্যন্ত কেউ ধরা পড়েনি।
সোমবার সকাল ৬ টা নাগাদ নিউ জলপাইগুড়ি এলাকার ওই শিলিগুড়ির ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের দলীয় কার্যালয়টি খুলতে গিয়ে সেটি লন্ডভন্ড অবস্থায় দেখেন এক কর্মী বাবলু চক্রবর্তী। তাঁরাই অন্যদের খবর দেন। এলাকাটি শিলিগুড়ি পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। এ দিন সকালে দেখা যায় কার্যালয়ের সামনে পতাকা তোলার লোহার খঁুটি উপড়ে ফেলা হয়েছে। কার্যালয়ের সামনে লাগানো বিজেপি নেতৃত্বের ছবি লাগানো হোর্ডিং তুলে ফেলে দেওয়া হয়। কয়েকটি পতাকাও ছিঁড়ে ফেলা হয়। ওয়ার্ড সভাপতি অতুল মণ্ডল বলেন, “আমাদের বেশ কিছুদিন ধরে তৃণমূলের কিছু লোক হুমকি দিচ্ছে। আমাদের সংখ্যালঘু সেলের এক সদস্য মহম্মদ ঈশাদুলকে রবিবার মারতে জড়ো হয়েছিল বেশ কিছু লোক। পরে অনেক লোকজন আসায় তিনি বেঁচে যান।” যদিও ওই ঈশাদুল লোকজন নিয়ে স্টেশন লাগোয়া মাঠে জুয়া খেলছিল বলে দাবি করেন আইএনটিটিইউসির প্রাক্তন জোনাল সভাপতি বিজন নন্দী। তিনি বলেন, “এলাকায় জুয়া খেলার কারণেই তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে মারধর করা হয়নি।”
পরে দুপুরে বিজেপির জেলা নেতারা গিয়ে নিউ জলপাইগুড়ি ফাঁড়িতে অপরাধীর গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি সদর অংমু গ্যামসো পাল বলেন, “সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” বিজেপির ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধিতে আতঙ্কিত হয়েই তৃণমূল এই ধরণের কাজ করছে বলে দাবি করেন বিজেপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি রথীন বসু। তিনি বলেন, “তৃণমূল কর্মীরা একের পর এক বিজেপির কার্যালয়ে হামলা করে প্রমাণ করে দিচ্ছে, বিজেপিকে তাঁরা ভয় পাচ্ছেন।” তৃণমূলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কৃষ্ণ পাল বলেন, “নিজেরাই নিজেদের পতাকা ফেলে দিয়ে নাটক করছে ওরা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy