Advertisement
১৬ মে ২০২৪

ফের মিড ডে মিলের রান্না বন্ধ হিন্দি হাইস্কুলে, ক্ষোভ

ফের অনির্দিষ্ট কালের জন্য মিড ডে মিল বন্ধ হয়ে গেলে শিলিগুড়ি হিন্দি হাই স্কুল (বয়েজ)-এ। বুধবার স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদ থেকে ইস্তফা দেন। বৃহস্পতিবার থেকে মিড ডে মিলের দায়িত্ব নিতে চাননি কোনও শিক্ষক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৪ ০২:২৮
Share: Save:

ফের অনির্দিষ্ট কালের জন্য মিড ডে মিল বন্ধ হয়ে গেলে শিলিগুড়ি হিন্দি হাই স্কুল (বয়েজ)-এ। বুধবার স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদ থেকে ইস্তফা দেন। বৃহস্পতিবার থেকে মিড ডে মিলের দায়িত্ব নিতে চাননি কোনও শিক্ষক। মিড ডে মিল নিয়ে সমস্যা-সহ কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে সংখ্যালঘুদের স্কুল বলে দাবি করায় তাঁদের বিরুদ্ধে এ দিন পুলিশে অভিযোগ করেন অভিভাবক মঞ্চ। পুরসভার মেয়র পারিষদ (শিক্ষা) রুমা নাথ, এলাকার কাউন্সিলর সীমা সাহা স্কুলে যান। প্রশাসনের তরফে পুরসভার মাধ্যমে স্কুলগুলিতে মিড ডে মিলের ব্যবস্থা করা হয়। পুরসভার তরফে এ দিন রুমা দেবী প্রশাসনের কাছে এই স্কুলের মিড ডে মিলের বিষয়টি তাদের দেখার আর্জি জানান। সর্বশিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে মহকুমা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

রান্নার লোক ছুটিতে গিয়েছেন বলে গত সোমবার মিড ডে মিল বন্ধ করে দেন হিন্দি হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিভাবকেরা হইচই করায় পরদিন থেকে ফের মিড ডে মিল চালু হয়। তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইস্তফা দেওয়ায় এ দিন থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য মিড ডে মিল বন্ধ হয়ে গেল বলে অভিভাবক এবং শিক্ষকদের একাংশ অভিযোগ তুলেছেন। স্কুল পরিদর্শকের কাছেও এ দিন সমস্যা নিয়ে শিক্ষকেরা গিয়েছিলেন। স্কুল পরিদর্শক সঞ্জীব কুমার ঘোষ বলেন, “স্কুলের প্রধান শিক্ষক ঠিক করার দায়িত্ব পরিচালন কমিটি তথা এ ক্ষেত্রে প্রশাসক হিসাবে এক জনের যে কমিটি রয়েছে তার। কর্তৃপক্ষকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।” স্কুলের প্রশাসক ভগবতী প্রসাদ ডালমিয়া। বলেন, “শিক্ষকদের একাংশ ইচ্ছে করে গোলমাল পাকাতে চান। শরীরের কথা বলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব ছাড়লেও মূলত তাঁদের চাপেই তিনি দায়িত্বে থেকে সরেছেন। প্রধান শিক্ষক পদে লোক নিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকেরা মিড ডে মিল না চালাতে চাইলে কর্তৃপক্ষ কী করবে?” অভিভাবক মঞ্চের উপরে ক্ষোভ প্রকাশ করে এ দিন ভগবতীবাবু জানান, যে কোনও কারণেই ওই মঞ্চ অভিভাবকদের জড়ো করে সুষ্ঠুভাবে স্কুল চালাতে বাধা দিচ্ছে। সংখ্যালঘুদের স্কুল বলে একটি মামলায় হাইকোর্ট জানিয়েও দিয়েছে। তাও তা মানা হচ্ছে না। অভিভাবক মঞ্চের দাবি, অন্যায় ভাবে কর্তৃপক্ষ স্কুলটিকে সংখ্যালঘুদের বলে দাবি করছেন। অথচ তার নিয়ম নীতি মানছেন না। মঞ্চের সম্পাদক সন্দীপন ভট্টাচার্যর অভিযোগ, “একটি মামলায় আদালত রায় দিয়েছে ঠিকই তবে সংখ্যালঘুদের স্কুলের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলের যে অনুমোদন লাগে তা নেই। তা ছাড়া স্কুলে ৪ জন সরকারি শিক্ষক রয়েছে। এটি সরকারি স্কুল। তা স্বীকার করছেন না কর্তৃপক্ষ। মিড ডে মিল বন্ধ করে রাখা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

mid-day meal hindi high school agitation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE