নিশিগঞ্জে নষ্ট হচ্ছে শসা। —নিজস্ব চিত্র।
মাঠ জুড়ে ছড়িয়ে আছে শসা। কেনার লোক নেই। শুক্রবারও কয়েকজন কৃষক শসা বিক্রি করতে নিয়ে গিয়ে নিশিগঞ্জ বাজারের মাঠে ফেলে দিতে বাধ্য হন। কৃষি দফতরের হিসেব অনুযায়ী, ওই মাঠে এক হাজার টনের উপরে শসা নষ্ট হচ্ছে। তা নিয়ে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে কৃষকদের মধ্যে।
প্রশাসনের তরফে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেওয়া হলেও আদতে কিছু হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন কৃষকরা। অনেকে আবার হাটে না তুলে সরাসরি পাইকারদের কাছে ১ টাকা কেজি দরে শসা বিক্রি করছেন। তা নিয়েও ক্ষুব্ধ কৃষকরা। সেক্ষেত্রে শসার দাম কমাতে কোনও চক্র সক্রিয় হয়ে উঠছে কি না, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখার দাবি তোলা হয়েছে।
কৃষকদের অভিযোগ, নিশিগঞ্জ বাজারে নিয়ে গেলে কেউ শসা কিনছে না। জেলার অন্যত্র কয়েক জায়গায়, পাইকারদের অনেকে ১ টাকা কেজি দরে শসা কিনছে বলে অভিযোগ। পাইকারদের কয়েকজন অবশ্য জানিয়েছেন, যেমন চাহিদা রয়েছে সে হিসেবে তাঁরা শসা কিনছেন। তাঁদের সামান্য দামে শসা বিক্রি করতে হচ্ছে। মোয়ামারির চাষি সেকেন্দার আলি বলেন, “সাড়ে পাঁচ বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছি। হাটে নিয়ে গেলে বিক্রি হচ্ছে না। ১ টাকা দরে এক পরিচিত পাইকারের কাছে কিছু বিক্রি করেছি। তাতে লোকসানের মধ্যে থাকতে হবে।” বিজেপি-র কোচবিহার জেলার সহ সভাপতি অনিল মালাকার জানান, তাঁরা ক্ষতিপূরণের দাবিতে আন্দোলনে নামবেন। প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমান অবস্থা জানিয়ে রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। সেখানে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
হিমঘরে আলু রেখে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের জন্য ধান ও ভুট্টা বীজ বিনা মূল্যে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কৃষি দফতর। কৃষি দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, কৃষকদের মধ্যে পাঁচ হাজার কেজি ধান বীজ এবং দুই হাজার ৩০০ কেজি ভুট্টা বীজ বিলি করা হবে। যার মূল্যে ৮ লক্ষ টাকা। তবে এখনও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা তৈরি করা হয়নি।
কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের কৃষি আধিকারিক সুপ্রতীক ঘোষ জানান, হিমঘর কর্তৃপক্ষ ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে ওই তালিকা তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। তিনি বলেন, “হিমঘর কর্তৃপক্ষ কতটা ক্ষতিপূরণ দেবেন তা নিয়ে আলোচনা চলছে।” প্রসঙ্গত, হিমঘর থেকে নিয়ে গিয়ে আলুবীজ রোপণ করার পরই কয়েক হাজার বিঘার আলুবীজ পচে যায় বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy