Advertisement
E-Paper

মাছ চাষের তথ্য দিতে বই প্রকাশ

মাছ চাষের পদ্ধতি, মাছের প্রজাতির সম্পর্কে তথ্য নিয়ে কোচবিহারে বই প্রকাশ করল জেলা মৎস্য দফতর। বৃহস্পতিবার মৎস্য দফতরের একটি হলে বইয়ের উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদ সভাধিপতি পুষ্পিতা ডাকুয়া। বইটির নাম ‘হ্যান্ড বুক অফ ফিসারি ইন কুচবিহার ডিস্ট্রিক্ট’। মাছ চাষের সময় কী কী সমস্যা হতে পারে, সে সম্পর্কে তথ্য রয়েছে বইটিতে। রাজ্য থেকে ৩৯ প্রজাতির মাছ হারিয়ে যাচ্ছে বলে বইয়ে উল্লেখ আছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৪ ০১:২৬

মাছ চাষের পদ্ধতি, মাছের প্রজাতির সম্পর্কে তথ্য নিয়ে কোচবিহারে বই প্রকাশ করল জেলা মৎস্য দফতর। বৃহস্পতিবার মৎস্য দফতরের একটি হলে বইয়ের উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদ সভাধিপতি পুষ্পিতা ডাকুয়া। বইটির নাম ‘হ্যান্ড বুক অফ ফিসারি ইন কুচবিহার ডিস্ট্রিক্ট’। মাছ চাষের সময় কী কী সমস্যা হতে পারে, সে সম্পর্কে তথ্য রয়েছে বইটিতে। রাজ্য থেকে ৩৯ প্রজাতির মাছ হারিয়ে যাচ্ছে বলে বইয়ে উল্লেখ আছে। সহ মৎস্য অধিকর্তা অলোকনাথ প্রহরাজ বলেন, “মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা জেলার মতো জেলাগুলিতে প্রাকৃতিক জলসম্পদ না থাকলেও সেখানে প্রতি হেক্টরে মাছ চাষ আট থেকে দশ টন ছাড়িয়ে যায়। কোচবিহারের মতো জেলায় প্রাকৃতিক জলসম্পদ থাকা সত্ত্বেও প্রতি হেক্টরে দুই টনের বেশি মাছ উৎপাদন হয় না। কারণ, মাছ চাষ সম্পর্কে সম্যক ধারণা নেই। সে সব মাথায় রেখেই বই প্রকাশ হল।”

কোচবিহারে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ মাছ চাষের উপর নির্ভরশীল বলে দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। জেলায় প্রায় ছয় হাজার ১২০ হেক্টর জলা জমি রয়েছে। সাধারণ ভাবে প্রতি বছর জেলায় ১৮৫৭৬ টন মাছ উৎপাদন হয়। যেখানে জেলায় মাছের প্রয়োজন রয়েছে ২৯৭০০ টন। প্রচুর পরিমাণ বাইরের জেলা ও রাজ্যগুলি থেকে জেলায় মাছ আমদানি করতে হয়। এবার জেলায় ২৫৭০০ টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্য স্থির করেছে মৎস্য দফতর। সে দিকে লক্ষ রেখেই বই প্রকাশের এই উদ্যোগ। পুকুরের মাছ চাষের ক্ষেত্রে কতটা গভীরতা জরুরি, কতটা তাপমাত্রা চাই, চুন ও সারের ব্যবহার কখন করতে হবে, কতটা পরিমাণ চুন সার প্রয়োগ করতে হবে, দেশি-বিদেশি মাছ চাষ পদ্ধতি কী, সবই উল্লেখ্য রয়েছে পুস্তিকাতে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত উপ মৎস্য অধিকর্তা উত্তম কুমার মাঝি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এই উদ্যোগ।” এ দিন ১৩ জন মৎস্যজীবীর হাতে মৎস্য যান ও সাইকেল, জাল, হাড়ি তুলে দেওয়া হয়। আধুনিক পদ্ধতিতে ওই মৎস্য যান তৈরি হয়েছে। একটি ভ্যানের মধ্যে মাছ রাখার জন্য হিমায়িত বাক্স, আলোর ব্যবস্থা রয়েছে। মৎস্য যান পেয়ে খুশি ভবেশ দাস বলেন, “এখন মাছ বিক্রিতে অনেক সুবিধে হবে।”

অবরোধ। প্রায় চার দিন ধরে ইসলামপুর থানার রামগঞ্জ এলাকাতে বিদ্যুৎ না থাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টা থেকে ২ ঘন্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ হয়। অবরোধের জেরে যানজটও হয়। অভিযোগ, রামগঞ্জের নয়াবাড়ি, গহর তোলা-সহ কিছু এলাকায় সোমবার থেকে ট্রান্সফর্মার বিকল। তার পরেও তা ঠিক করা হয়নি। পরে বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।

fishery book published
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy