Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

মিলল ছাত্রীর দেহ, সন্দেহ ধর্ষণ করে খুন

বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দুরে খেত থেকে উদ্ধার হল নিখোঁজ এক স্কুল ছাত্রীর পচাগলা মৃতদেহ। শুক্রবার সকালে মালদহের গাজল থানার মাজরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বলরামপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। গ্রামবাসীদের অনুমান, বছর ১১ বয়সের ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:৫৮
Share: Save:

বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দুরে খেত থেকে উদ্ধার হল নিখোঁজ এক স্কুল ছাত্রীর পচাগলা মৃতদেহ। শুক্রবার সকালে মালদহের গাজল থানার মাজরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বলরামপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। গ্রামবাসীদের অনুমান, বছর ১১ বয়সের ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেহটি পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২শে জানুয়ারি বেলা ৩টে নাগাদ বাড়ির সমানে বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করছিল ওই কিশোরী। কিন্তু সন্ধ্যের পর থেকেই তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করেও তাঁর সন্ধান না মেলায় পর দিন অর্থাৎ ২৩শে জানুয়ারি গাজল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে তার পরিবার। ওই কিশোরীর পরিবারের দাবি, ২৬ জানুয়ারি অচেনা দুটি নম্বর থেকে ফোন আসে। মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। পুলিশকে জানানো হয়েছিল সেই অভিযোগ। ছাত্রীটির বাবা বলেন, “আমি দোকানে কাজ করছিলাম। সন্ধ্যে বেলা আমার স্ত্রী জানায় যে বড়ো মেয়েকে পাওয়া যাচ্ছে না। এর পর গ্রামে আমরা খোঁজ খবর শুরু করি। তার সন্ধান না মেলায় আমরা থানাতে গিয়ে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলাম। কয়েকদিন পর থেকেই দুটি নম্বর থেকে বেশ কয়েকবার আমাকে ফোন করা হয় এবং মেয়ের মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। তবে আমাদের যা আর্থিক অবস্থা তা জোগাড় করা সম্ভব ছিল না। কেন এমন হল আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।’’

এদিন সকালে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ওই ছাত্রীর বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দুরে ক্ষেতের মধ্যে একটি পচা গলা মৃতদেহ দেখতে পান। ঘটনাটি চাউর হতেই ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজন মৃতদেহটি শনাক্ত করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগানো ছিল।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান ছাত্রীটি যেদিন নিখোঁজ হয় সেদিনই তাকে খুন করা হয়েছে। তাদের সন্দেহ, প্রথমে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে গামছা দিয়ে শ্বাস রোধ করে খুন করা হয়েছে। এই এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, নিখোঁজ হওয়ার পরে পুলিশ তৎপর হলে এমন হয়তো হতো না। মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক মোদি বলেন, “একটি খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণ করে খুন কি না তা ময়না তদন্তের পরেই জানা যাবে। এ ছাড়া পরিবারের লোকেদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনের নম্বর নেওয়া হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

malda dead body rape murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE