Advertisement
২০ মে ২০২৪

মহিলার দেহ ঘিরে রহস্য

পরিত্যক্ত পাম্প ঘর থেকে উদ্ধার হল এক মহিলার ক্ষত-বিক্ষত দেহ। পাশাপাশি দু’ভরি সোনার গয়না-সহ হাজার পাঁচেক টাকাও উধাও বলে নিহতের পরিবারের দাবি। বৃহস্পতিবার সকালে কালিয়াচক থানার আকন্দবেড়িয়া পঞ্চায়েতের সাহেলাপুর গ্রামের এই ঘটনা ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৫ ০৩:০৯
Share: Save:

পরিত্যক্ত পাম্প ঘর থেকে উদ্ধার হল এক মহিলার ক্ষত-বিক্ষত দেহ। পাশাপাশি দু’ভরি সোনার গয়না-সহ হাজার পাঁচেক টাকাও উধাও বলে নিহতের পরিবারের দাবি। বৃহস্পতিবার সকালে কালিয়াচক থানার আকন্দবেড়িয়া পঞ্চায়েতের সাহেলাপুর গ্রামের এই ঘটনা ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতত শীতলা মণ্ডল (৩৫) ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। গোলাপগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মা ও দুই ভাইকে নিয়ে ছিল শীতলাদেবীর সংসার। ছোট ভাই কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে থাকেন। বুধবার রাতে বড় ভাই সীতেশ কালিয়াচকে আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ায় ঘরে একাই ছিলেন শীতলাদেবী ও তাঁর বৃদ্ধা মা। রাতের খাওয়া সেরে ওই দিন তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত দেড়টা নাগাদ ঘুম ভেঙে আরতিদেবী ঘরের কোথাও মেয়েকে খুঁজে না পেলে গ্রামেও তার খোঁজে তল্লাশি তলে। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে পাগলা নদীর ধারে একটি পরিত্যক্ত পাম্প মেশিনের ঘরে গলার নলি ও হাত কাটা অবস্থায় তাঁর দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে।

নিহতের পরিবারের দাবি, শীতলাদেবীর কাছে প্রায় দু’ভরি সোনার গয়না ছিল। এ ছাড়া বাড়িতে থাকা নগদ পাঁচ হাজার টাকাও নেই। খুনের ঘটনায় গ্রামেও চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। গ্রামবাসীদের কারও অনুমান, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে। খুনের পর তাঁর কাছ থেকে গয়না ও টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে অপরাধী। সীতেশবাবু বলেন, “বাবার মৃত্যুর পর দিদিই বাড়ির কর্ত্রী ছিলেন। বাড়িতেই উনি বিড়ি বাঁধার কাজ করতেন। ওঁর সঙ্গে কারও সম্পর্ক ছিল কিনা তা আমরা জানি না। আমাদের অনুমান, দিদির কাছেই বাড়ির টাকা পয়সা থাকায় ওঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কেউ খুন করেছে। দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।” পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের রামকুমার মণ্ডল বলেন, “কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, তা দ্রুত পুলিশকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।” পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মৃত্যুর কারণ দেখা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

malda
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE