অনুষ্ঠানে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দীনেশ শর্মা। —নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি-র সর্ব ভারতীয় সহসভাপতি তথা লখনউয়ের মেয়র দীনেশ শর্মা এ দিন শিলিগুড়িতে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বাংলার বদলে বাংলাদেশকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। দিদির সঙ্গে যাঁরা ঘুরছেন তাঁরা ৪২০ মামলায় গ্রেফতার হচ্ছেন।” তিনি বলেন, “দিদিকে বলছি, বাংলার মানুষের সঙ্গে সত্ মায়ের মতো আপনি ব্যবহার করছেন কেন? বাংলার মানুষের চেয়ে যে সব বাংলাদেশি বসে রয়েছেন, তাঁদের দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। এ দেশের মানুষ, যাঁদের নিয়ে রাষ্ট্রশক্তি তাঁরা আপনার প্রিয় নন।”
তিনি দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্থানীয় বিভিন্ন নির্বাচন এবং ২০১৬ সালের নির্বাচন নিয়ে এখন আতঙ্কিত। অন্যান্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে নেতা-কর্তারা বিজেপিতে সামিল হতে চাইছেন। দেশের রাজনৈতিক বাতাবরণও বদলেছে। বিরোধীরা এক হয়ে বিজেপিকে রুখতে চাইছে। তবে অসম, বিহার, বাংলায় এ বার যখন নির্বাচন হবে বিজেপি-ই জিতবে। ছোট বড় যত নির্বাচন হবে ১০০ টার মধে ৯৯ টা তাঁরা জিতবেন বলে তাঁর দাবি। তিনি বলেন, “অনেকে দিল্লির প্রসঙ্গ তুলতে বলতে পারেন দিল্লিতে কেন আমরা জিতিনি? দিল্লিতে ১ বছর আগে আমরা সাড়ে ২৫ লক্ষ ভোট পেয়েছিলাম। এ বার তা বেড়ে ২৯ লক্ষ হয়েছে। ১৫ শতাংশ কংগ্রেসের ভোট কমেছে। অন্যান্য দলের ৯ শতাংশ কমেছে। আমাদের কর্মকর্তারা হারেননি। দিল্লির পুনরাবৃত্তি বাংলায় হবে না। এখানে আমরা জিতব।”
দেশে বিজেপি-র সদস্য সংগ্রহ অভিযানের আহ্বায়ক দীনেশবাবু বলেন, “যিনি পাঁচ হাজারের বেশি সদস্য সংগ্রহ করতে পারবেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসে চা পানের সুযোগ পাবেন। আর এক হাজারের বেশি যিনি সদস্য সংগ্রহ করতে পারবেন, তাঁকে রাহুল সিংহ সম্মান জানাবেন। আমরা সংগঠন মজবুত করতে চাই। এ রাজ্যে শাসক দলের অনেক মন্ত্রীরাই যোগাযোগ করছেন। তবে রিজেক্টেড কাউকে দলে নেব না, সিলেকটেড লোকদেরই নেব। যাঁরা বিজেপির রীতি-নীতি মেনে চলতে পারবেন। মানুষের সেবা করতে চান। সদস্য সংগ্রহ অভিযান যখন শেষ হবে, আমরা বিশ্বে সবচেয়ে বড় দল হব।”
মুকুল রায় বা অন্য ক’জন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী বিজেপিতে আসার ইচ্ছে জানিয়েছেন? সে প্রসঙ্গে দীনেশবাবু বলেন, “এখনই কারও নাম আমরা করছি না। তা ঘোষণা করলে তৃণমূল উঠে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy