শিলিগুড়িতে যোগদান দিবস পালন করে পুরভোটের প্রচারে নেমে পড়ল বিজেপি। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির মহাকালপল্লিতে দলের যোগদান দিবস পালন করে সেই বার্তাই দিতে চেয়েছে তারা।
উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ। তাঁর হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে শিলিগুড়ি পুর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে বিজেপি’তে অনেকেই যোগ দেন বলে দাবি করা হয়। রাজ্য সভাপতি জানান, সব মিলিয়ে অন্তত ২ হাজার জন যোগ দিয়েছেন। যাঁরা উপস্থিত হয়েছেন সকলেই যোগ দান করতে এসেছেন।
দলের তরফে জানানো হয় এ দিন শিলিগুড়ি শহর এবং মহকুমার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ওই ব্যক্তিরা যোগদান করেছেন। তার মধ্যে একাংশ তৃণমূল, সিপিএম কংগ্রেস ছেড়ে এসেছে। যদিও তৃণমূল, সিপিএম এবং কংগ্রেস আলাদা ভাবে তা অস্বীকার করেছে। তাঁদের দল ছেড়ে কেউ যাননি বলে জানান। বিজেপি’র দাবি, ৩৬-৪৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং ডাবগ্রাম ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে রুইদাস বারুইয়ের নেতৃত্বে অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে এসেছে।
জেলা তৃণমূলের অন্যতম নেতা তথা প্রাক্তন মেয়র পারিষদ কৃষ্ণ পাল বলেন, “বছর দেড়েক আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ওই নেতাকে দুর্নীতি এবং দল বিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কার করা হয়। পরে তিনি বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হয়েও ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে দলের আর কোনও সম্পর্ক এখন নেই।”
এ দিন এসজেডিএ কাণ্ডে দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তদন্ত চলাকালীন চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়াবার দাবি তোলেন। না হলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে তিনি গোড়া থেকেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের প্রসঙ্গ তুলে ওই অভিযোগ করেন। যা নিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া এ সব ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “মঞ্চে বক্তব্যে তিনি এসজেডিএ নাম করেননি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের নাম করেছেন। উনি আগে সঠিক ভাবে জেনে আসুন। বক্তব্যে এক রকম পরে আরেক রকম বলছেন উল্লেখ করা হলে তাঁকে আইনজীবীর চিঠি পাঠানো হবে।”
বিজেপি’র একটি সূত্রেই জানা গিয়েছে, এসজেডিএ দুর্নীতি কাণ্ড এবং বর্তমানে সরদা-সহ বিভিন্ন ব্যাপারে তৃণমূল সরকারের পরিস্থিতি তুলে ধরে তারা শিলিগুড়ি পুরভোটের প্রচারে নামতে চান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি রথীন্দ্র বসু, জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি দীপেন প্রামাণিক, দলের উত্তরবঙ্গের কোঅর্ডিনেটর পার্থ ঘোষরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy