নাইটদের আইপিএল জয়ের সংবর্ধনার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরের প্রথম দিন শিলিগুড়িতে পৌঁছে ৩ ঘণ্টার মধ্যেই বিশেষ বিমানে কলকাতা ফিরে গেলেন তিনি। ফলে, উত্তরবঙ্গের সরকারি কর্মসূচি কিছুটা সংক্ষিপ্ত হল। সব ঠিক থাকলে, আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যের মধ্যেই ফের উত্তরবঙ্গ পৌঁছনোর কথা মুখ্যমন্ত্রীর। আগামী ৪ জুন মাদারিহাটে ও ৫ জুন রাজাভাতখাওয়ায় একাধিক সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর।
মুখ্যমন্ত্রীর সফর কাটছাঁট হওয়ায় ডুয়ার্সের পর্যটকদের জন্য ফের ‘কার সাফারি’ চালু করে দেওয়া হয়। আজ, মঙ্গলবার সকালে জলদাপাড়ায় পর্যটকেরা হাতি-সাফারিও করতে পারবেন বলে বন দফতর জানিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছনোর পরে মঙ্গলবার বিকেল থেকে ফের নিরাপত্তার খাতিরে কড়াকড়ি করা হতে পারে বলে পুলিশ-প্রশাসন সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের প্রাক্কালে সুকনা থেকে বক্সার জঙ্গল অবধি সাতটি বন বাংলোর বুকিং বাতিল করা হয়, হাতি, গাড়িতে চড়ে জঙ্গল ঘোরাও সাময়িক ভাবে স্থগিত রাখা হয়েছিল।
মুখ্যমন্ত্রীর সফর সংক্ষিপ্ত হলেও হলং বন বাংলোর আটটি ঘরে অবশ্য নতুন করে বুকিং দেওয়া হয়নি। বনমন্ত্রী বিনয় বর্মনের বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রীর সফর চলাকালীন জঙ্গলে জিপ সাফারি বন্ধ থাকবে না। মুখ্যমন্ত্রী হলং-এ থাকলে বাংলো এলাকা বাদে পর্যটকরা জিপ ও হাতি সাফারি করতে পারবেন।” উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল বিপিন সুদ শুধু বলেন, “হলং বন বাংলোর তিনটি ঘর বাদে বাকি ঘরগুলি পর্যটন দফতরের নিয়ন্ত্রণে, তাঁরা কী করবেন তা আমাদের দেখার বিষয় নয়।”
সরকারিভাবে ঠিক ছিল, মুখ্যমন্ত্রীর দুপুরে বাগডোগরায় নেমে সেখান থেকে উত্তরকন্যায় যাবেন তিন জেলার বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে। সেখান থেকে বিকেলে সেবক হয়ে তাঁর যাওয়ার কথা ছিল মাদারিহাটে। রাতে হলং বনবাংলোয় তাঁর থাকার বন্দোবস্ত করা হয়। দুদিন সেখানে তাঁর থাকার কথা ছিল। তার পরে দুই দিন জয়ন্তী পিএইচই বাংলোয় কাটিয়ে একদিন মংপং বন বাংলোয় থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কলকাতায় ফেরার কথা ছিল।
এদিন সকাল থেকেই গোটা যাতায়াতের রাস্তায় পুলিশ পিকেট বসানো এবং নজরদারি বাড়ানো হয়। বিভিন্ন এলাকার অফিসারদের সে সব জায়গায় পাঠানো হয়। প্রশাসনের কর্তাদের থাকার ব্যবস্থা থেকে গাড়ির ব্যবস্থা সবই করা হয়। সফর বদল হতে তা অনেকটাই উল্টোপাল্টা হয়ে যায়। একাংশ পুলিশ-প্রশাসনের অফিসারেরা মুখ্যমন্ত্রীর ডুয়ার্সের থাকা-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থলের দিকে রওনাও হয়ে যান। পরে নতুন খবর পেয়ে তাঁরা ফের শিলিগুড়ি ফিরতে শুরু করেন।
কলকাতা থেকেও বহু অফিসার শিলিগুড়িতে এসেছেন। বিকালে তাঁদের কয়েকজনকে উত্তরকন্যার সামনে দাঁড়িয়ে বলতে শোনা যায়, “মুখ্যমন্ত্রী তো কলকাতায় গেলেন। আবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসবেন। আমরা শিলিগুড়ি থেকে যাব না ডুয়ার্সে চলে যাব, বোঝা যাচ্ছে না।”
আজ, মঙ্গলবার বিকেলে মাদারিহাটে কৃষক এবং মৎস্যজীবীদের সরঞ্জাম বিলির অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। পরদিন, রাজভাতখাওয়ায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ এবং আদিবাসী উন্নয়ন পর্যদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন, সব অনুষ্ঠানই হবে। তবে তা একদিন করে পিছিয়ে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy