সিভিক পুলিশের ব্যাজ পরে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বোনকে নকল সরবরাহ করতে যাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক কলেজ ছাত্র।
সোমবার, মাধ্যমিকের প্রথম দিনে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর হাইস্কুলের ঘটনা। ইসলামপুর কলেজের প্রথম বর্ষের কলা বিভাগের ওই ছাত্রটির বোন ওই কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছিল। এসডিপিও (ইসলামপুর) সুবিমল পাল বলেন, “সিভিক পুলিশের ভুয়ো পরিচয়ে ওই যুবক নকল সরবরাহ করতে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সিভিক পুলিশের ব্যাজটি তিনি কোথা থেকে পেলেন, তা জানার চেষ্টা চলছে।”
পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই স্কুলের পাশে বাঁশের ব্যারিকেডের ভিতরে ওই যুবককে দেখতে পান ওই কেন্দ্রে কর্তব্যরত সিভিক পুলিশের কর্মীরা। তাঁরা জানান, যুবকের জামায় সিভিক পুলিশের ব্যাজ থাকায় প্রথমে তাকে কেউ সন্দেহ করেননি। কিন্তু যুবকটি একেবারে জানলার কাছে গিয়ে ইতস্তত ঘোরাঘুরি করতে থাকায় তাঁদের সন্দেহ হয়।
খবর যায় পুলিশে। পুলিশ এসে ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত যুবকের অবশ্য দাবি, “নকল সরবরাহ করতে যাইনি। বোন পরীক্ষাকেন্দ্রে ঠিক মতো বসতে পেরেছে কি না, দেখার জন্যই স্কুল চত্বরের ভিতরে গিয়েছিলাম।” তা হলে সিভিক পুলিশের ব্যাজ কোথা থেকে এল? এ বার যুবক নিরুত্তর।
২০১২ সালে মাধ্যমিকে নকল রুখতে গিয়ে এই উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরেই জনতার ঢিলে আহত হন এসডিপিও (ইসলামপুর)। গত বছর, মাধ্যমিকে নকল রুখতে আহত হন মহকুমাশাসকও। তবে শুধু ইসলামপুর নয়, উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়েই এ দিন নিরাপত্তা এবং নজরদারির কড়াকড়ি ছিল। পরীক্ষার্থী ছাড়া, কাউকে স্কুল চত্বরের আশপাশে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। ভিডিও ক্যামেরার ব্যবস্থাও ছিল। নকল সরবরাহ করতে যাওয়ার অভিযোগে এ দিন জেলার চাকুলিয়া থেকেও দু’জনকে ধরেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy