টিএমসিপি ও এসএফআই সমর্থকদের মধ্যে গোলমাল ও পরে টিএমসিপি সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানের ভোজ না খেয়েই কলেজ ছেড়ে চলে গেলেন রায়গঞ্জের সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম। সোমবার দুপুরে রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ কলেজে এসএফআই পরিচালিত কলেজের ছাত্র সংসদের তরফে পড়ুয়াদের সরস্বতী পুজোর ভোজ খাওয়ানোর আয়োজন করা হয়। ছাত্র সংসদের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল রায়গঞ্জের সাংসদ মহম্মদ সেলিমকেও। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই এ দিন দুপুরে কলেজে গিয়েছিলেন সেলিম।
এ দিন খাওয়ানোর আগে এসএফআই সমর্থকেরা সেলিমকে কলেজ চত্বরে সংবর্ধনা দেন। সংবর্ধনা পর্ব চলাকালীনই টিএমসিপি সমর্থকেরা কলেজের বিভিন্ন জায়গায় সংগঠনের পতাকা লাগাতে শুরু করেন। ওই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ে যান সাংসদ ও এসএফআইয়ের সমর্থকেরা। সেই সময় মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে সেলিমকে বলতে শোনা যায়, “কলেজে কোনও ছাত্র সংগঠনেরই পতাকা থাকা উচিত নয়। কারণ, রাজনৈতিক পরিচয় আলাদা হলেও ছাত্র সংসদের সমস্ত প্রতিনিধি সদস্য এক হয়ে কলেজ পরিচালনা করবেন, এটাই গণতান্ত্রিক পদ্ধতি। ছাত্র সংসদের সদস্যদের আমি ইউনিয়ন রুম থেকে এসএফআইয়ের পতাকা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি।”
এর পরে সাংসদ মঞ্চ থেকে নামতেই টিএমসিপি সমর্থকেরা তাঁর সামনেই স্লোগান দিতে শুরু করেন। সেই সময় দৃশ্যতই বিরক্ত সেলিম এসএফআই সমর্থকদের কাছে তাঁর পক্ষে ভোজ খাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে কলেজ থেকে চলে যেতে চান। এসএফআই সমর্থকেরা তাঁকে জানান, কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের একাংশ তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য অধ্যক্ষের ঘরে অপেক্ষা করছেন। সেই সংবর্ধনা-পর্ব মিটতে কলেজ ছেড়ে চলে যান সেলিম। পরে অবশ্য তিনি দাবি করেন, “করণদিঘিতে জরুরি কাজ থাকায় ভোজ খেতে পারিনি।” টিএমসিপির অভিযোগ রবিবার রাতে এসএফআই তাদের পোস্টার ছিড়ে দেয়। অভিযোগ অস্বীকার করেছে এসএফআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy