Advertisement
E-Paper

সন্তানদের বিষ দিয়ে আত্মঘাতী

দুই শিশু কন্যাকে কীটনাশক মেশানো দুধ-বিস্কুট খাইয়ে আত্মঘাতী হলেন মা। ময়নাগুড়ির পূর্ব সাতভেন্ডিতে এমনই অভিযোগ উঠেছে। মহিলা এবং ৬ মাসের এক শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছে। সাড়ে তিন বছরের আরেক শিশু চিকিৎসাধানী। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মহিলার নাম মায়া রায় (২৮)। বিষক্রিয়ায় মায়াদেবীর ৬ মাসের মেয়ে কলিতারও মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ, বাপের বাড়িতে যেতে না দেওয়ার অভিমানেই মায়াদেবী এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৪ ০১:৩১

দুই শিশু কন্যাকে কীটনাশক মেশানো দুধ-বিস্কুট খাইয়ে আত্মঘাতী হলেন মা। ময়নাগুড়ির পূর্ব সাতভেন্ডিতে এমনই অভিযোগ উঠেছে। মহিলা এবং ৬ মাসের এক শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছে। সাড়ে তিন বছরের আরেক শিশু চিকিৎসাধানী। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মহিলার নাম মায়া রায় (২৮)। বিষক্রিয়ায় মায়াদেবীর ৬ মাসের মেয়ে কলিতারও মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ, বাপের বাড়িতে যেতে না দেওয়ার অভিমানেই মায়াদেবী এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। বুধবার বিকেলের বাড়ি থেকে মা ও দুই শিশুকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধারের পরে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই দিন গভীর রাতে দু’জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সাড়ে তিন বছরের অন্য শিশুটি সুস্থ রয়েছে। ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুকুমার মিশ্র বলেন, “বধূ ও তাঁর সন্তানের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে কেউ অভিযোগ জানায়নি। ঘটনাটি শোনার পরে আমরাই তদন্ত শুরু করেছি।”

পুলিশ জানায়, বধূর বাপের এবং শ্বশুরবাড়ি একই গ্রামে। রামসাই গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব সাতভেণ্ডি এলাকায় পারিবারের অমতে প্রেমের সূত্রে পাঁচ বছর আগে মায়াদেবী বাড়ির অমতে পেশায় কৃষক রামচন্দ্র রায়ের সঙ্গে বিয়ে করেন। কিন্তু ৫ মাস আগে বধূর ভাই কৃষ্ণগোপাল জামাইবাবুর বোন গীতাকে বিয়ে করলে দুই পরিবারের মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যায় বলে অভিযোগ। আধ কিলোমিটারের কম দূরত্ব হলেও রামচন্দ্রবাবু মায়াদেবীকে বাপের বাড়িতে যেতে দিতেন না বলে অভিযোগ। পরিবার সূত্রে জানা যায়, বুধবার মায়াদেবী রান্না শেষ করে দুই মেয়েকে খেতে দিয়ে ঘরের কাজ সেরে নেন। বিকেলে বাড়ি ফাঁকা পেয়ে দুধ ও বিস্কুটের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে শিশুদের খাওয়ান ও নিজেও সেটা খেয়ে নেন বলে অভিযোগ। কাজ থেকে বাড়িতে ফিরে তিনজনকে ছটফট করতে দেখে রামচন্দ্রবাবু ঘাবড়ে যান। ওঁদের পাশে সবজি খেতের জন্য ঘরে রাখা কীটনাশকের শিশি পড়ে থাকতে দেখে, বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি চিৎকার করলে পড়শিরা চলে আসে বলে জানা গিয়েছে। বধূর ভাই হরিলাল সরকারের অভিযোগ, “রাস্তায় বাপের বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে দেখা হলে কথা বলতে গেলে দিদিকে অপমান করা হত।”

moynaguri suicide
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy