Advertisement
E-Paper

২৬ জন ভুয়ো পরীক্ষার্থী গ্রেফতার

কেউ স্কুলছাত্র, কেউ বা কলেজের। কেউ আবার বিএড করছেন। কেউ চাকরির খোঁজ। এমনই ২৬ জনকে ভুয়ো পরীক্ষার্থী অভিযোগে গ্রেফতার করেছেন বিএসএফ জওয়ানেরা। ধৃতেরা মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, হুগলি, হাওড়া জেলার বাসিন্দা। দু’ থেকে পাঁচ হাজার টাকার জন্য অন্য পরীক্ষার্থীর হয়ে বিএসএফের কনস্টেবল নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় বসেছিলেন। রবিবার দুপুরে মালদহ থানার নারায়ণপুরে বিএসএফের সদর দফতরে ঘটনাটি ঘটেছে। সকলকেই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৫৪

কেউ স্কুলছাত্র, কেউ বা কলেজের। কেউ আবার বিএড করছেন। কেউ চাকরির খোঁজ। এমনই ২৬ জনকে ভুয়ো পরীক্ষার্থী অভিযোগে গ্রেফতার করেছেন বিএসএফ জওয়ানেরা।

ধৃতেরা মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, হুগলি, হাওড়া জেলার বাসিন্দা। দু’ থেকে পাঁচ হাজার টাকার জন্য অন্য পরীক্ষার্থীর হয়ে বিএসএফের কনস্টেবল নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় বসেছিলেন। রবিবার দুপুরে মালদহ থানার নারায়ণপুরে বিএসএফের সদর দফতরে ঘটনাটি ঘটেছে। সকলকেই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, বিএসএফের ৮৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের ডেপুটি কমান্ড্যান্ট রবীন্দ্র রাম ওই রাতে মালদহ থানায় অভিযোগ জানান। সোমবার পুলিশ ধৃতদের আদালতে তুললে মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট প্রদীপকুমার রায় তাদের জামিন নামঞ্জুর করে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। খবর পেয়ে এদিনই ধৃতদের অনেকের পরিবারের লোকজন মালদহে এসেছেন।

জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “টাকার জন্য অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসে ২৬ জন ধরা পড়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।”

বিএসএফ ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিএসএফে কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য মাস দুয়েক আগে শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা হয়। তাতে পাশ করেন ৫১৮ জন। রবিবার মালদহের নারায়ণপুর সদর দফতরে ওই যুবকদের লিখিত পরীক্ষা ছিল। ডেপুটি কমান্ডেন্ট রবীন্দ্র রাম জানান, লিখিত পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই কয়েকজন বিএসএফ অফিসার লক্ষ্য করেন, অ্যাডমিট কার্ডের ছবির সঙ্গে কয়েক জন পরীক্ষার্থীর মিল নেই। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই ২৬ জনকে আটক করা হয়। পরে সকলে স্বীকার করেন, অন্যের হয়ে সকলে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। টাকা দিয়ে পরীক্ষার লোক ঠিক করার এই কাজ যে প্রার্থীরা করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ধৃতদের আইনজীবী সৌমেন সরকার বলেন, “দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকার জন্য ধৃতেরা ওই কাজ করেছে। এদের মধ্যে ২০ জন এখনও স্কুল কলেজে পড়ছে। ৭ নভেম্বর পুলিশের কাছে কেস ডায়েরি চেয়ে পাঠিয়েছেন বিচারক।”

fake student examination malda
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy