চার কাঠার বেশি জমিতে নির্মাণকাজ হলে গাছ লাগাতে হবে। সেই সব নির্মাণের নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে এই গাছ লাগানো বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা করেছে উত্তর দমদম পুরসভা। এলাকায় সবুজ বৃদ্ধির জন্যই এমন চিন্তাভাবনা বলে জানিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি স্বাগত জানালেও বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুর এলাকায় ক্রমশ বাড়ছে ঘরবাড়ি। সেই কাজের জেরে কোপ পড়ছে সবুজের উপরে। তাই এমন পরিকল্পনা দ্রুত কার্যকর হওয়া আবশ্যক। এর পাশাপাশিই, এলাকায় যতটা সবুজ এখনও বেঁচে রয়েছে, সেটি রক্ষা করার উপরে বেশি জোর দিতে হবে। পুরসভা অবশ্য জানিয়েছে, সবুজ রক্ষা এবং বৃদ্ধি— এই দুই ক্ষেত্রেই জোর দেওয়া হচ্ছে।
এলাকায় সবুজ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এর আগে এক লক্ষ গাছের চারা রোপণের পরিকল্পনা করেছিল পুরসভা। সেই পরিকল্পনা কার্যকরও করতে শুরু করেছে তারা। মূলত ফুল, ফলের গাছের চারা রোপণে জোর দেওয়া হচ্ছে। যদিও বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, সবুজ বাঁচানোর সুষ্ঠু পরিকল্পনা না থাকলে চারা রোপণ করে আখেরে লাভ হবে না। যত্রতত্র নয়, পরিকল্পনামাফিক গাছের চারা রোপণ করা প্রয়োজন। পুরসভা অবশ্য জানিয়েছে, চারা যাতে কোনও ভাবে নষ্ট না হয়, তার জন্য দেওয়া হচ্ছে বেষ্টনী।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা ভবেশ সাহা বলেন, ‘‘পুরনো গাছ চিহ্নিত করে সেগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে তৎপরতা দেখা যায় না। গাছের মধ্যে দিয়ে তার নিয়ে যাওয়া, ডালপালা ছাঁটার নাম করে বড় বড় ডাল কেটে ফেলার প্রবণতা বন্ধ করা দরকার।’’ অভিযোগ পুরোপুরি না মানলেও পুর কর্তাদের একাংশের মতে, পুর এলাকায় সবুজ রক্ষার দিকে নজর রাখা হয়। পুরনো গাছ চিহ্নিতকরণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে পরিকল্পনা, পর্যালোচনা চলছে। উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানান, সবুজ রক্ষা এবং সবুজ বৃদ্ধি— উভয় ক্ষেত্রেই জোর দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে পর্যায়ক্রমে একাধিক পরিকল্পনা হচ্ছে। চার কাঠার বেশি জমিতে নির্মাণ হলে সেখানে গাছ বসানোর ভাবনা তারই অংশ।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)