Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বিমল গুরুংয়ের সুরে গোর্খাল্যান্ড চান বিনয়ও

ম্মু-কাশ্মীরকে দু’ভাগে ভেঙে দু’টি নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরির খবরে নতুন দিশা দেখতে পাচ্ছে পাহাড়।

বিনয় তামাং

বিনয় তামাং

নিজস্ব সংবাদদাতা
দার্জিলিং শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৯ ০৫:০০
Share: Save:

জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে সংসদের সঙ্গে দিনভর তোলপাড় হল দার্জিলিং পাহাড়ও। উপত্যকা রাজ্যকে দু’ভাগে ভাঙার উদাহরণ দেখিয়ে দার্জিলিংকে বিধানসভা-সহ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করার দাবি উঠল পাহাড়ের প্রায় সব পক্ষ থেকে। আলাদা ভাবে হলেও পাহাড়ে নতুন করে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন বিনয় তামাং ও বিমল গুরুং। বিনয় অবশ্য তাঁদের আন্দোলনে যোগ দিতে সব দলকেই ডাক দিলেন। জানান, আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করতে ১৫ অগস্টের পরে তাঁদের কোর কমিটির বৈঠক হবে। বিমল গুরুংপন্থী মোর্চার মুখপাত্র বিপি বজগাইও একজোট হওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন। জানান, একই দাবিতে লড়তে থাকা সব দলের সঙ্গেই আলোচনায় বসতে রাজি তাঁরা।

জম্মু-কাশ্মীরকে দু’ভাগে ভেঙে দু’টি নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরির খবরে নতুন দিশা দেখতে পাচ্ছে পাহাড়। এর মধ্যেই পাহাড়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি উঠতে শুরু করেছে। এই দাবি এক দিকে যেমন শোনা গিয়েছে জিএনএলএফ নেতা এনভি ছেত্রীর মুখে, অন্য দিকে রোশন গিরি-বিমল গুরুংরাও এই দাবিতে আন্দোলনে নামার কথা জানিয়েছেন। এর মধ্যে বিনয় তামাং ফের গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে প্রচার শুরু করেছেন। মঙ্গলবার কার্শিয়াং, কালিম্পং, মিরিক, দার্জিলিঙের বিভিন্ন বাজার, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে পোস্টার লাগিয়েছেন বিনয়পন্থীরা। প্রশ্ন উঠেছে, এই আন্দোলনে বিনয়ের সঙ্গে কি হাত মেলাবেন বিমলপন্থীরা? পাহাড়ের অনেকেই বলছেন, বিনয় ও বিমলপন্থী মোর্চার মধ্যে নতুন করে সমঝোতা অসম্ভব নয়। চা বাগান শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির দাবিতে এর মধ্যেই দুই মোর্চার চা শ্রমিক সংগঠন এক মঞ্চে এসে আন্দোলন শুরু করেছে।

বিনয়রা অবশ্য গোর্খাল্যান্ডের দাবি তোলার পাশাপাশি এর জন্য বিজেপিকে দায়ী করছেন। সাংসদ রাজু বিস্তা কেন সংসদে গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলছেন না, এই প্রশ্ন তুলে বিনয় বলেন, ‘‘অন্য রাজ্যের সাংসদ লোকসভায় গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুললেও দার্জিলিঙের সাংসদ চুপ করে থাকছেন। গোর্খাল্যান্ডের দাবির সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতার বিরুদ্ধেও আমরা আন্দোলনে নামব।’’ এর জবাবে বিজেপির পাহাড় কমিটির সভাপতি মনোজ দেওয়ান বলেন, ‘‘পাহাড়ের মানুষের বিভিন্ন দাবি সংসদে তুলেছেন সাংসদ। গোর্খাল্যান্ড নিয়ে দলের অবস্থানের কথা কেন্দ্রীয় কমিটিই বলবে।’’ এ দিনই রাজু বিস্তা সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে পাহাড়ের স্থায়ী সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদী। রাজুর কথায়, ‘‘বিজেপি স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেটা গোর্খাল্যান্ডই হোক, বিধানসভা-সহ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হোক বা অন্য কিছু। সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করেই এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

পাহাড়ে যখন নতুন করে আন্দোলনের মেঘ, তখন গোপন ডেরায় বসে আছেন বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা। তাঁরা কী ভাবছেন? সংবাদ সংস্থাকে রোশন বলেন, ‘‘আমাদের মনে হয়, এটাই সেরা সময়। দার্জিলিংকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দেওয়া হোক। আমরা খুব শিগগির আন্দোলনে নামব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE