Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ভর্তুকির চিনি মিলবে কেবল অন্ত্যোদয়েই

নবান্ন সূত্রের খবর— গত ২ জুন কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ বার থেকে শুধুমাত্র অন্নপূর্ণা অন্ত্যোদয় যোজনার আওতায় থাকা হতদরিদ্র পরিবারকেই তারা ওই ভর্তুকি দেবে। রাজ্যে এই যোজনায় রয়েছেন ২০ লক্ষের মতো পরিবার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৭ ০৩:৩৬
Share: Save:

কেরোসিনের কোটা আগেই কমিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র। এ বার কমাল চিনির ভর্তুকিও। এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানকে শুক্রবার চিঠি দিয়ে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন।

চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এত দিন পর্যন্ত প্রতি কিলোগ্রাম চিনিতে ১৮.৫০ টাকা করে ভর্তুকি দিত কেন্দ্র। অন্নপূর্ণা অন্ত্যোদয় যোজনা এবং বিপিএল পরিবার মিলিয়ে মোট ২.৭২ কোটি পরিবার এত দিন ওই ভর্তুকির সুবিধে পেতেন। রেশনে প্রতি পরিবারকে মাসে আধ কিলোগ্রাম করে চিনি দেওয়া হতো। বাকি ভর্তুকি, পরিবহণের খরচ-সহ অন্যান্য খরচ দিতে হতো রাজ্য সরকারকেই।

নবান্ন সূত্রের খবর— গত ২ জুন কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ বার থেকে শুধুমাত্র অন্নপূর্ণা অন্ত্যোদয় যোজনার আওতায় থাকা হতদরিদ্র পরিবারকেই তারা ওই ভর্তুকি দেবে। রাজ্যে এই যোজনায় রয়েছেন ২০ লক্ষের মতো পরিবার। নতুন সিদ্ধান্তে রাজ্যে দারিদ্রসীমার নীচে থাকা আড়াই কোটিরও বেশি পরিবার চিনির ভর্তুকি থেকে বঞ্চিত

হবেন। যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্রের নীতি বদলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন রাজ্যের গরিব পরিবারগুলো। অথচ, এই পরিবারগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করাই সরকারের প্রাথমিক দায়িত্ব।’’

যদিও কেন্দ্রের যুক্তি, সংস্কারের এই পদক্ষেপে আখেরে লাভবান হবেন গরিব মানুষই। অতীতের গণবণ্টন ব্যবস্থা বদলে এনডিএ সরকারের আমলে তা হয়েছে শুধুমাত্র দরিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষদের জন্য বণ্টন ব্যবস্থা। বর্তমানে শুধুমাত্র অতিদরিদ্র পরিবারের মানুষেরাই ভর্তুকির সুবিধে পাবেন। ঠিক যে ভাবে ডিজেল, পেট্রোল ও রান্নার গ্যাসের উপর থেকে ধাপে ধাপে ভর্তুকি তুলে নিয়ে গরিবদের তা কম দামে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।

মাস দুয়েক আগে একই ভাবে এ রাজ্যে প্রতি মাসে প্রায় ৪ হাজার কিলোলিটার কেরোসিনের কোটা কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী সে সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছিলেন। রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা জানাচ্ছেন, ‘‘এমনিতেই রাজ্যের কোষাগারের হাড়ির হাল। রাজ্যের পক্ষে এই ভর্তুকি পুষিয়ে দেওয়া অসম্ভব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE