Advertisement
E-Paper

ফের পেঁয়াজ-চাষি আত্মঘাতী বলাগড়ে

শুক্রবার রাতে বাড়ি ফেরেননি বাপি। শনিবার ভোরে বাড়ির কাছেই খেতে তাঁকে বেঁহুশ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন পড়শিরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৯ ০২:১৯
বাপি টুডু

বাপি টুডু

১৭ দিনের ব্যবধানে ফের আত্মঘাতী বলাগড়ের এক পেঁয়াজ-চাষি। দাম না-মেলায়, বহু পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ার জেরেই এক্তারপুর পঞ্চায়েতের তেলেনিপাড়া গ্রামের বাপি টুডু (৩২) নামে ওই চাষি আত্মঘাতী হন বলে তাঁর পরিবারের দাবি।

শুক্রবার রাতে বাড়ি ফেরেননি বাপি। শনিবার ভোরে বাড়ির কাছেই খেতে তাঁকে বেঁহুশ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন পড়শিরা। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছিল। তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুর ১২টা নাগাদ মারা যান।

গত ২৭ মার্চ এই ব্লকেরই সিজা-কামালপুর পঞ্চায়েতের গৌরনই গ্রামের পেঁয়াজ চাষি সুমন্ত ঘোষ আগাছা মারার ওষুধ খেয়ে আত্মঘাতী হন। তিনিও পেঁয়াজের দাম পাচ্ছিলেন না। এ বার বাপির আত্মঘাতী হওয়ার কথা জেনে বলাগড়ের বিডিও সমিত সরকার বলেন, ‘‘বিভাগীয় অফিসারদের ওই চাষির বাড়িতে যেতে বলেছি। তাঁর মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ এ বার এই ব্লকে যে পেঁয়াজের ক্ষতি হয়েছে তা আগেই মেনেছিলেন বিডিও। বাপির মা সরস্বতীদেবী বলেন, ‘‘৫০-৬০ হাজার টাকা মহাজনের থেকে ধার করে ছেলে পেঁয়াজ চাষ করেছিল। ও-ই পরিবারের একমাত্র রোজগেরে। পেঁয়াজের দাম না-মেলায় ও প্রায় ৩০০ বস্তা পেঁয়াজ পড়ে থেকে নষ্ট হয়। ধার শোধ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছিল ছেলে। সে জন্যই বিষ খেল।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

হুগলিতে বেশি পেঁয়াজ চাষ হয় বলাগড়েই। এ বার ফলনও বেশি হয়েছে। দাম না-পাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন বহু চাষি। গত মাসের অসময়ের বৃষ্টি তাঁদের লাভের আশায় জল ঢালে। অধিকাংশ পেঁয়াজ খেতেই পচে যায়। অনেকে দু’টাকা কেজি দরেও পেঁয়াজ বিক্রি করেন বলে জানান। সব মিলিয়ে এ বার বলাগড়ে কয়েক কোটি টাকার পেঁয়াজ নষ্ট হয় বলে চাষিদের দাবি।

বাপিরা তিন ভাই, দুই বোন। বাবা গুরুপদ টুডু বছর পনেরো আগে মারা গিয়েছেন। এ বার মোট ৩ বিঘে ২২ কাঠা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেন বাপি। এর মধ্যে তাঁর নিজের জমি মাত্র ২২ কাঠা। বাকিটা ভাগের। কিন্তু লাভের কড়ি ঘরে তুলতে পারেননি। সিপিএমের জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আলুতে সহায়ক-মূল্য ঘোষণা করলেন। রাজ্য সরকার যদি পেঁয়াজও সহায়ক-মূল্যে কিনত, তা হলে দুই চাষিকে মরতে হত না।’’ কৃষি বিপণনমন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘সিপিএম ভোটের মুখে এই মৃত্যু নিয়ে অনর্থক রাজনীতি করছে। রাজ্য সরকার সহায়ক-মূল্যে আলু কিনেছে বলেই অনেক চাষির ক্ষতি ঠেকানো গিয়েছে। বলাগড়ের ওই মৃত চাষির পরিবারের পাশে আছি।’’

Suicide Balagarh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy