ছবি: এএফপি।
রাজ্যের ঘোষিত নীতি হল ‘প্রতি ঘরে বিদ্যুৎ’। আর কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী সেই কাজে অনেকটাই সফল পশ্চিমবঙ্গ। নতুন বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়ার কাজে বাধা কাটাতে সহজ নিয়মে চলতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। এখন থেকে কোনও বাসিন্দা দু’টি প্রমাণপত্র দিলেই তাঁর বাড়িতে বিদ্যুৎ-সংযোগ দিয়ে দেওয়া হবে। অন্য কোনও তথ্যের প্রয়োজন হবে না। শর্ত একটাই, নতুন লাইন যে-বাড়িতে যাবে, সেই ঠিকানায় কোনও গ্রাহকের নামে বিদ্যুতের বকেয়া বিল থাকলে হবে না।
বিদ্যুৎ সূত্রের খবর, নতুন নিয়মে আবেদনকারীর ভোটার কার্ড বা পাসপোর্ট বা টেলিফোন বিল বা অন্য যে-কোনও সরকারি পরিচয়পত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় তাঁর বসবাসের প্রমাণ (বিক্রি, লিজ বা ভাড়ার নথি, পুরসভা বা পঞ্চায়েতের দেওয়া সম্পত্তি করের রসিদ ইত্যাদি) দিলেই যথেষ্ট। এখন থেকে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার সব ডিভিশনে এই নিয়ম মেনে চলতে বলা হয়েছে। আবেদনকারী বা তাঁর বাড়ির ঠিকানা সংক্রান্ত অন্য কোনও তথ্য চাওয়া হবে না। কারণ, অনেক সময়েই অতিরিক্ত প্রমাণপত্র দিতে না-পারায় নতুন সংযোগ দিতে সমস্যায় পড়তে হয় বিদ্যুৎকর্মীদের।
বিদ্যুৎ ভবনের এক কর্তা জানান, চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র দেখাতে না-পারায় অনেক বাড়িতেই নতুন সংযোগ দেওয়া যায় না। আবার সংযোগ না-পেয়ে হুকিং করে দেদার বিদ্যুৎ ব্যবহারেরও প্রচুর দৃষ্টান্ত আছে। তাই সহজে লাইন দিয়ে চুরি ঠেকানোর পাশাপাশি গ্রাহক-সংখ্যা বাড়িয়ে ব্যবসায় আরও গতি আনাই এই নতুন নিয়মের উদ্দেশ্য। শীর্ষ বিদ্যুৎকর্তারা এটাকে সহজে ব্যবসা বাড়ানোর কৌশল হিসেবেই দেখছেন। কয়েক বছর ধরে গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করাই ছিল রাজ্য সরকারের
‘পাখির চোখ’। বলতে গেলে রাজ্যের ৯৯ শতাংশ গ্রামেই বিদ্যুৎ পৌঁছে গিয়েছে। বণ্টন সংস্থার গ্রাহক-সংখ্যা এখন প্রায় ১.৭ কোটি। এর পরেও গ্রাহক-সংখ্যা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। তাই এই সহজ নিয়মের দাওয়াই দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ ভবন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy