শুরুটা হয়েছিল বৃহস্পতিবার। মালদহে পাট্টা বিলির অনুষ্ঠান মঞ্চে প্রকাশ্য কাজিয়ায় জড়িয়ে পড়েন রাজ্যের দুই মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী এবং সাবিত্রী মিত্র। দুই মন্ত্রীকে পাশাপাশি বসার অনুরোধ করে ছিলেন জেলাশাসক। রাজি হননি কৃষ্ণেন্দু। শুধু তাই নয় পাট্টার তালিকা দেখে রীতিমত ক্ষেপে ওঠেন তিনি। তারপরেই শুরু হয়ে যায় তর্কাতর্কি।
কৃষ্ণেন্দু- কার নির্দেশে ইংরেজবাজারে পাট্টা দেওয়ার জন্য উপোভোক্তাদের নামের তালিকা তৈরি হল? আমি এলাকার বিধায়ক, পুরসভার চেয়ারম্যান। আমাকে না জানিয়েই কে পাট্টা দেওয়ার তালিতা তৈরি হল?
সাবিত্রী- তোমাকে জানানো হয়েছিল।
কৃষ্ণেন্দু- পাট্টা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইংরেজবাজারে কে নিয়েছে?
সাবিত্রী-মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কৃষ্ণেন্দু- কাকে জানিয়ে ইংরেজবাজারে পাট্টা দেওয়ার জন্য নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে?
সাবিত্রী- তোমাকে জানানো হয়েছে। তোমাকে চিঠি দেওয়া হয়ে ছিল।
এরপরে আরও রেগে গিয়ে দুই মন্ত্রী একে অপরকে আঙুল দেখিয়ে তর্কাতর্কি শুরু করে দেন।
কৃষ্ণেন্দু- পঞ্চায়েত এলাকায় পাট্টা দিতে হলে বিধায়ক, পুরসভা এলাকায় পাট্টা দিতে হলে চেয়ারম্যানকে জানাতে হয়। কে জানে? কেউ জানেনা।
সাবিত্রী- তুমি জানো।
কৃষ্ণেন্দু- কোন আধিকারিক পাট্টার তালিকা তৈরি করেছে? আমাকে কেম জানায়নি?
সাবিত্রী- নিঃশর্ত দলিল দেওয়া হচ্ছে। কেন তুমি না জানার ভান করছ?
কৃষ্ণেন্দু- পাট্টা দিতে গেলে পুরসভায় জানাতে হয়। পুরসভার বোর্ড মিটিং-এ তা আলোচনা হয়।
সাবিত্রী- পাট্টা দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরসভায় না জানালেও চলবে।
কৃষ্ণেন্দু- আমি কি পুরসভার আইন জানি না?
সাবিত্রী- তুনি পুরসভাটা জানো। পাট্টার আইন জানো না। এরপর পাট্টা দেওয়া হোক সকলকে।
কৃষ্ণেন্দু- কাউকে পাট্টা দেওয়া হবে না।
সাবিত্রী- কেন পাট্টা দেওয়া হবে না?
কৃষ্ণেন্দু- তোমার এলাকায় পাট্টা দেওয়া হোক।
সাবিত্রী- আমার লাকা বলতে তুমি কোনটা বলতে চাইছো? সবই আমার এলাকা।
কৃষ্ণেন্দু- ইংরেজবাজারে পাট্টা দিতে দেব না।
সাবিত্রী- তা হলে তুমি নিজেই সকলকে বলে দাও। পুরাতন মালদহের যারা আছেন তাঁরা পাট্টা নিয়ে যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy