অনুদানের অর্থ বাড়ি নির্মাণ কি আদৌ সম্ভব? উঠছে প্রশ্ন। ফাইল ছবি।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় উপভোক্তা প্রতি সরকার যা অর্থ বরাদ্দ করেছে, তা দিয়ে বাড়ি তৈরি করতে হবে। তার সঙ্গে নিজের পকেট থেকে টাকা দিলে চলবে না বলে আগেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সরকারি অনুদানের ওই ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় কি আদৌ পাকা বাড়ি তৈরি সম্ভব, সন্দিহান উপভোক্তাদের একাংশ।
সরকারি প্রকল্পের কাজে কোনও অসঙ্গতি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল এসেছে রাজ্যে। গ্রামেগঞ্জে ঘুরে সরকারি কাজকর্ম এবং উপভোক্তাদের উপযুক্ততা যাচাই করছেন তারা। পরিদর্শনে যাওয়া সেই কেন্দ্রীয় দলকে উপভোক্তাদের নানাবিধ প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে জায়গায় জায়গায়। অনেকেরই দাবি, ওই টাকায় আদৌ শৌচাগার-সহ পাকা বাড়ি তৈরি কার্যত সম্ভব নয়। সাম্প্রতিক সময়ে নির্মাণ সামগ্রীর দাম যে হারে বেড়েছে, তাতে অনুদানের অর্থে বাড়ি তৈরি করা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন তাঁরা। আবাস প্লাসের সংশোধিত তালিকায় নাম থাকা নদিয়ায় রবি পাহাড়ির বক্তব্য, ‘‘বালি, সিমেন্ট, ইট সবের দাম বেশি। সঙ্গে টয়লেটও করতে হবে আবার। ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় এত কিছু কী করে সম্ভব!’’ মুর্শিদাবাদের এক উপভোক্তার আবার দাবি, ‘‘ছাদের আগেই সব টাকা শেষ হয়ে যাবে। কী ভাবে করব, বুঝে উঠতে পারছি না।’’
সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বাড়ি নির্মাণের সামগ্রী বিক্রেতাদের একাংশও। নদিয়ার ব্যবসায়ী প্রবীর আগরওয়াল বলেন, ‘‘বিগত এক বছরে ২০-২৫ শতাংশ হারে ইট, বালি, সিমেন্টের দাম বেড়েছে। তাতে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় টয়লেট-সমেত পাকা বাড়ি তৈরি করা কতটা সম্ভব, জানি না!’’
কেন্দ্রীয় দলের এক সদস্য অবশ্য জানাচ্ছেন, সরকারি নিয়ম মেনে কোনও ঠিকাদারকে যুক্ত না করে ২৫ বর্গ মিটারের বাড়ি ওই টাকায় তৈরি করা সম্ভব। নদিয়ার জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠিও বলেন, ‘‘কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বাড়ি তৈরি একটি নির্দিষ্ট মডেল রয়েছে। নির্দেশিকা মেনে কাজ করলে অনুদানের অর্থে বাড়ি তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy