লেলিহান: জ্বলছে পুলিশের গাড়ি। গোঘাটের পচাখালিতে। নিজস্ব চিত্র
পুলিশি নজরদারি চলাকালীন দুর্ঘটনায় এক মোটরবাইক আরোহীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল হুগলির গোঘাটে। অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের দু’টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মারধর করা হয় গোঘাট থানার এএসআই-সহ কয়েক জন পুলিশ কর্মীকে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরেই স্থানীয় পচাখালিতে পুলিশি নজরদারি চলছিল। এ দিন বিকেল ৫টা নাগাদ মুরারি কর্মকার (৪৫) নামে এক মোটরবাইক আরোহী কামারপুকুরের দিকে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, পুলিশ তাঁকে থামানোর চেষ্টা করলে তিনি গতি বাড়িয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সে সময় উল্টো দিক থেকে আসা একটি গা়ড়ি তাঁকে পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাঁকুড়ার বেলডিহার বাসিন্দা মুরারিবাবুর।
দুর্ঘটনার পরই আশপাশের তিন-চারটি গ্রামের মানুষ পথ অবরোধ শুরু করেন। চলে বিক্ষোভ। তাঁদের দাবি, ওই এলাকায় পুলিশ গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষার নামে প্রায় প্রতিদিনই হয়রান করে চালকদের। পুলিশের নজর এড়াতে দ্রুত পালাতে গিয়ে এর আগেও কিছু দুর্ঘটনাও ঘটেছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, মুরারিবাবু বাইক নিয়ে পালানোর সময় লাঠি ছুড়ে মেরেছিলেন এক পুলিশ কর্মী। লাঠির আঘাতেই নিয়ন্ত্রণ হারান তিনি। তার পরেই তাঁকে পিষে দেয় গাড়িটি।
প্রাথমিক ভাবে অবরোধ তুলতে এসেছিল গোঘাট থানার পুলিশ। কিন্তু নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি বিক্ষোভকারীদের। উল্টে পুলিশকেই মার খেতে হয়েছে বলে অভিযোগ। পরে এসডিপিও কৃশানু রায় পুলিশ বাহিনী এবং র্যাফ নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। অবরোধ তুলতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলেও অভিযোগ। দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ আগুন নেভায়।
লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কামনাশিস সেন বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগে কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy