Advertisement
E-Paper

সব চেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশই: হাইকোর্ট

হাইকোর্ট বিভিন্ন মামলায় পুলিশ-প্রশাসনের গাফিলতি-দীর্ঘসূত্রতার কথা তুলে ধরে কখনও বিদ্রুপ, কখনও বা তীব্র তিরস্কারে তাদের দুরমুশ করছে। বৃহস্পতিবার পুলিশি তদন্ত সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি চট্টোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, পুলিশই সব চেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:২২
জমি না থাকলেও সরকারি প্রকল্পে বাড়ি পাওয়ার যোগ্য, মত কলকাতা হাইকোর্টের।

জমি না থাকলেও সরকারি প্রকল্পে বাড়ি পাওয়ার যোগ্য, মত কলকাতা হাইকোর্টের।

রাজ্য কী ভাবে চলছে, অগস্টে প্রশ্ন তুলেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার। সেপ্টেম্বরে উচ্চ আদালতেরই বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন তুললেন, ‘‘একে কি প্রশাসন বলে?’’

হাইকোর্ট বিভিন্ন মামলায় পুলিশ-প্রশাসনের গাফিলতি-দীর্ঘসূত্রতার কথা তুলে ধরে কখনও বিদ্রুপ, কখনও বা তীব্র তিরস্কারে তাদের দুরমুশ করছে। বৃহস্পতিবার পুলিশি তদন্ত সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি চট্টোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, পুলিশই সব চেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত। তার পরেই রাজ্য সরকারে কাছে তিনি জানতে চান, একে প্রশাসন বলে কি না।এ দিন মূলত পুলিশকে বিঁধলেও বিচারপতি চট্টোপাধ্যারের পর্যবেক্ষণে সেতু-বিপর্যয় থেকে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুর্নীতি পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় উঠে আশে। রীতিমতো উষ্মার সঙ্গে তিনি জানান, সেতুগুলোর স্বাস্থ্য খারাপ। মানুষ মারা যাচ্ছে। মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা হচ্ছে! মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না। মানুষের ভোটে জেতার পরে মানুষের প্রতিই আর কোনও দায়বদ্ধতা থাকছে না। নৈতিকতা বলে কিছুই নেই।আদালতের খবর, মুর্শিদাবাদের বহরমপুর পুরসভা এলাকার রানিবাগানে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু হয় ২০১২ সালে। সেই সেন্টারের প্রাক্তন এক কর্ণধারের অভিযোগ, তিনি আর ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত নন। অথচ সই জাল করে তাঁর নামে এ বছরেও ট্রেড লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁর অভিযোগ পেয়েও বহরমপুর থানার আইনি ব্যবস্থা নেয়নি। তাই তিনি হাইকোর্টে মামলা করেছেন।

বহরমপুর পুরসভার আইনজীবী অরিন্দম দাস অবশ্য আদালতে দাবি করেন, অভিযোগ ওঠায় ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ট্রেড লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করানো হয়নি।সরকার পক্ষের কৌঁসুলি এর পরে আদালতে আবেদন জানান, এই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে হলফনামা পেশ করার সুযোগ দেওয়া হোক। তা শুনেই পুলিশ দুর্নীতিতে সেরা বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি চট্টোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘হলফনামা পেশ করতে চাওয়া মানে আরও সময় নষ্ট হওয়া। একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ট্রেড লাইসেন্সের মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সেখানে মানুষের কী চিকিৎসা হবে? কারা করবেন চিকিৎসা? তাঁদের উপরে মানুষ কি আর ভরসা রাখতে পারবেন?’’

বিচারপতি সরকারি কৌঁসুলিকে জানিয়ে দেন, সরকারকে হলফনামা পেশের কোনও রকম সুযোগ তিনি দেবেন না। তবে সই জালের কী তদন্ত হয়েছে, আগামী ৩ অক্টোবরের মধ্যে হলফনামা পেশ করে তা আদালতে জানাতে হবে ওই জেলার পুলিশ সুপার ও বহরমপুর থানার ওসি-কে।

Corruption Police Calcutta High Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy