—নিজস্ব চিত্র।
মা কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি টানা ৩৭দিন। এই অবস্থাতেও কাজের প্রতি নিষ্ঠায় খামতি নেই তাঁর। চাকরির নিয়ম মেনে রবিবারই বজবজ থানায় যোগ দিচ্ছেন রামকুমার মণ্ডল।
পুলিশ বিভাগে কর্মদক্ষতার নিরিখে এবং সাহসিকতার জন্য রামকুমার রাষ্ট্রপতির পুলিশ মেডেল পেয়েছেন। রবিবার বর্ধমান পুলিশ লাইন মাঠে আইজি (বর্ধমান রেঞ্জ) ভরতলাল মিনার হাত থেকে তিনি এই পদক নিলেন তিনি। অনাড়ম্বর ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলার পুলিশসুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, অতিরিক্ত পুলিশসুপার কল্যাণ সিংহরায়-সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিক।
রামকুমার এক সময় নিজেও কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে কোভিডকে জয় করে ফের কাজে যোগ দেন। তাঁর মা জ্যোৎস্না মণ্ডল কোভিডে আক্রান্ত হয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ৩৭ দিন কার্যত মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। তার মধ্যেই বদলির নির্দেশ হাতে পান রামকুমার। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে কয়েক দিন বাড়িতে বিশ্রাম নিয়েই রবিবার পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম থানার নতুন আইসি-কে কার্যভার বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। এর পর বজবজ থানার নতুন আইসি হিসাবে কাজে যোগ দেবেন।
রামকুমারেরর জন্য জেলা পুলিশের সমস্ত বিভাগের আধিকারিকরা গর্বিত। জেলা পুলিশসুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “রামকুমার পুলিশ বিভাগে তাঁর কাজের মূল্যায়ণের নিরিখে রাষ্ট্রপতির পুলিশ মেডেল অর্জন করেছেন। ২০১৮ সালে দিল্লিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে এই পুরস্কার নেওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। তাই রবিবার পুলিশ লাইনে একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে এই সম্মান তুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁর সম্মানে আমারা সকলেই গর্বিত।”
১৯৯২ সালে রামকুমার যোগ দেন ব্যারাকপুর পুলিশ লাইনে। তার পর দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন। কসবা, বারুইপুর, ক্যানিং, জয়নগর থানায় ওসি-র দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বাগদা, গাইঘাটা, জীবনতলা থানার আইসি হিসাবেও কাজ করেছেন। আউশগ্রাম থানার আইসির দায়িত্বে থাকা রামকুমার বলেন, “এই পুরস্কারের মর্যাদা রাখতে চেষ্টা করব। এই মেডেল শুধুমাত্র আমার নয়, গোটা পুলিশ বিভাগের।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy