বিএলএলআরও নিগ্রহের ঘটনায় তিন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলাগড় থেকে বিকাশ কর্মকার, আকবর শেখ ও গৌতম দত্ত নামের ওই তিনজনকে ধরা হয়। তবে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শ্যামাপ্রসাদ রায় বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্য তিন তৃণমূল নেতা অধরাই। মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতারের প্রশ্নে জেলা পুলিশের (গ্রামীণ) এক শীর্ষকর্তা শুধু বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে।’’
অবৈধ বালি তোলা রুখতে গিয়ে সোমবার মার খেয়েছিলেন বলাগড়ের ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক (বিএলএলআরও) জয়ন্ত দত্ত। তাঁর অভিযোগ ছিল, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি এবং ডুমুরদহ-১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শ্যামাপ্রসাদ রায় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই চলে মারধর। খুনের চেষ্টা, কর্তব্যরত আধিকারিকের উপর বলপ্রয়োগ, কাজে বাধা এবং অনধিকারে সরকারি দফতরে প্রবেশের ধারায় শ্যামাপ্রসাদ-সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ।
জয়ন্তবাবু মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি রাজস্ব) পূর্ণেন্দু মাঝির সঙ্গে দেখা করে ফের বিষয়টি জানান। জয়ন্তবাবু এ দিন বলেন, ‘‘ওই ঘটনার ছবি কয়েকজন মোবাইলে তুলেছিলেন। পুলিশের কাছে সেই ছবি জমা দেব।’’
তবে সরকারি কর্মীর উপর এমন হামলার পরেও পুলিশ কেন মূল অভিযু্ক্তকে ধরছে না, তা নিয়ে ক্ষুব্ধ ব্লক প্রশাসনের অন্য আধিকারিকরা। তাঁদের অভিযোগ, যাদের ধরা হয়েছে, তারা একেবারেই চুনোপুঁটি। ‘রাঘব বোয়াল’ শ্যামাপ্রসাদ রায় বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও যে তিন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাদের টিকিও এখনও ছুঁতে পারেনি পুলিশ।
সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন শ্যামাপ্রসাদবাবু। মঙ্গলবার একই সুরে তিনি বলেন, ‘‘যাদের ধরা হয়েছে তারা কেউ তৃণমূল কর্মী নন। আর জয়ন্তবাবুকে মারধর করা হয়নি। আমরা শুধু আলোচনা করতে গিয়েছিলাম।’’