এই সময়ে ভোরের দিকে ঠান্ডা থাকায় গাড়িচালকদের চোখের পাতা ভারী হয়ে আসে। তার উপরে কুয়াশা-ধোঁয়াশার জন্য দৃশ্যমানতাও থাকে কম। দুইয়ে মিলিয়ে বিপদের আশঙ্কা বাড়ে। তাই স্কুলপড়ুয়ারা যাতে শীতের কাকভোরে শিক্ষামূলক ভ্রমণে না-বেরোয়, সেই পরামর্শ দিচ্ছে পুলিশ।
রাজ্য পুলিশের কর্তাদের মতে, এই মরসুমে ভোরে বড় সড়কের উপরে ঘন কুয়াশার চাদর থাকে। তার উপরে কোনও কোনও এলাকায় দূষণের জন্য তৈরি হয় গাঢ় ধোঁয়াশা। বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, কম দৃশ্যমানতার ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই এই পরামর্শ। শুধু ভোরে নয়, রাতেও বেশি দূরত্ব পাড়ি দিতে নিষেধ করছে পুলিশ। দুর্ঘটনা কমাতে এর আগে গাড়িচালকদের মাঝরাস্তায় থেমে চোখে জলের ঝাপটা দেওয়া এবং চা-জলপানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
রাজ্য ট্রাফিক পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই এই পরামর্শ বিভিন্ন স্কুলের কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।’’ প্রশ্ন উঠেছে, শিক্ষামূলক ভ্রমণের অনেক সময়েই একটু দূরের জায়গা বেছে নেওয়া হয়। তাই সময়ে পৌঁছনোর জন্য রওনা দেওয়া হয় ভোর ভোর। কিন্তু পুলিশের সুপারিশ মেনে চললে তো সময়ে পৌঁছনো যাবে না। পুলিশের ওই কর্তা বলেন, ‘‘ভ্রমণের থেকেও প্রাণের দাম বেশি। তাই সম্ভব হলে কাছেপিঠের জায়গা বাছতে বলছি।’’
পুলিশি সূত্রের খবর, অনেক সময় পর্যটকেরা সপ্তাহান্তের ছুটি কাটাতে অফিস সেরে রাতে কাছেপিঠের পর্যটনস্থলে যান। সে-ক্ষেত্রে নিশুতি রাতে হোটেল বা রিসর্টে পৌঁছন। সতর্কতা হিসেবে হোটেল-রিসর্টের মালিকদের বলা হয়েছে, তাঁরা যেন গভীর রাতের বুকিং না-নেন। কেননা অনেক সময়েই দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছতে গিয়ে রাতে দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে জাতীয় ও রাজ্য সড়কের সব সেতুতে পূর্ত দফতরকে আলো লাগাতে বলেছে পুলিশ। জেলা ট্রাফিক পুলিশ সব সেতুর আগে এবং সেতুতে রিফ্লেক্টার বসাচ্ছে। তা লাগানো হলে চালকেরা কুয়াশাতেও রাস্তা নিয়ে বিভ্রান্ত হবেন না। ‘‘রাতে দুর্ঘটনা আটকাতে বড় রিফ্লেক্টার এবং রাস্তার উপরে ছোট রিফ্লেক্টার (ক্যাটস আই) বসানো হচ্ছে,’’ বলেন এক পুলিশকর্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy