Advertisement
১৯ মে ২০২৪

উত্তর থেকে দক্ষিণ, পক্ষে-বিপক্ষে পথে

নতুন আইনের সমর্থনে দক্ষিণ দিনাজপুরে বিজেপির মিছিল এ দিন আটকায় পুলিশ। বিকেলে বুনিয়াদপুরে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তিও হয়। মিছিলে ছিলেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। 

পায়ে পায়ে: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে বামেদের মিছিল। রবিবার হাওড়ায়। নিজস্ব চিত্র

পায়ে পায়ে: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে বামেদের মিছিল। রবিবার হাওড়ায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৫০
Share: Save:

রবিবার ছুটির দিনেও সরগরম পথঘাট। নতুন নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মিছিলে উঠল স্লোগান। উত্তর থেকে দক্ষিণ, জেলায় জেলায় আইনের বিরুদ্ধে পথে নামল তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামেরা। আইনকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি কেন এই আইন জরুরি তা মানুষকে বোঝাতে পাল্টা ‘অভিনন্দন যাত্রা’ করেছে বিজেপিও।

নতুন আইনের সমর্থনে দক্ষিণ দিনাজপুরে বিজেপির মিছিল এ দিন আটকায় পুলিশ। বিকেলে বুনিয়াদপুরে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তিও হয়। মিছিলে ছিলেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। নয়া আইনের সমর্থনে রায়গঞ্জ শহরেও বিজেপির মিছিল ও পথসভা হয়েছে।

সকালে হুগলির উত্তরপাড়াতেও অনুমতি না থাকায় বিজেপির মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। সেই মিছিলে ছিলেন দলের রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসু। প্রতিবাদে জিটি রোড অবরোধ করেন বিজেপিকর্মীরা। বিকেলে সিঙ্গুরে মিছিল করেন স্থানীয় বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: ‘দিশা’ ডিউটিতে আপত্তি আশা-কর্মীদের, সংঘাত চরমে

দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাতেও এ দিন নয়া আইনের সমর্থনে পথে নেমেছে বিজেপি। পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন দলের জেলা সভাপতি শমিত দাশ। বীরভূমের বোলপুরে বিজেপির মিছিলে ছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খান। পুরুলিয়ার মানবাজার, বর্ধমানের কাঁকসাতেও বিজেপির মিছিল হয়েছে।

নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধেও মিছিল হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে। তৃণমূলের পাশাপাশি পথে নেমেছে বাম ও কংগ্রেস। কিছু জায়গায় বাম-কংগ্রেসের যৌথ কর্মসূচি হয়। তৃণমূলের মিছিল হয়েছে মেদিনীপুর গ্রামীণে, ক্ষীরপাইয়ে। আজ, সোমবার ঘাটালে মিছিল করবেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার সন্ধ্যায় নদিয়ার চাকদহে প্রতিবাদ সভা করে তৃণমূল। উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙায় আবার তৃণমূলের মিছিলে মতুয়া সম্প্রদায়ের একাংশ পা মেলান। পক্ষান্তরে, নাগরিকত্ব আইনকে স্বাগত জানিয়ে অশোকনগরে মিছিল করেন মতুয়াদের অন্য একটি অংশ।

আরও পড়ুন: পথে নেমে প্রতিবাদের সুযোগ চান সুগত

এ দিনই মুর্শিদাবাদের ডোমকলের সভা থেকে বিজেপি সরকারকে নিশানা করেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বিজেপি সরকার বিভেদের রাজনীতি করে দেশে আগুন লাগাতে চাইছে।’’ তৃণমূলেরও সমালোচনা করে অধীর জানান, প্রতিবাদের নামে নাটক করছে রাজ্যের শাসক দল। শ্রীরামপুরে কংগ্রেসের মিছিলে ছিলেন আব্দুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্যরা। মেদিনীপুর শহরে কংগ্রেসের মিছিল ও পশ্চিম বর্ধমানের উখড়ায় প্রতিবাদসভা হয়েছে।

নতুন নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে পথে নেমেছে বামেরাও। হাওড়ার বাগনানে পদযাত্রা ও সভায় ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। পরে গিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের নিমতৌড়িতে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ‘দেশদ্রোহী’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। রায়গঞ্জেও মিছিল করেছে সিপিএম। দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়িতে যৌথ মিছিলে পা মেলান কংগ্রেসের শঙ্কর মালাকার এবং সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্য, জীবেশ সরকাররা। মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে কংগ্রেস-সিপিএমের যৌথ শান্তি মিছিল বেরোয়।

এ দিনই আসানসোলে নিরুপম সেনের স্মরণসভায় যোগ দিতে এসেছিলেন প্রবীণ সিপিএম নেতা প্রকাশ কারাট। তিনি বলেন, ‘‘দেশের সার্বভৌমত্ব-অখণ্ডতা রক্ষা এবং সংবিধানের প্রতি সম্মান জানাতেই এই আন্দোলন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE