Advertisement
০৪ মে ২০২৪

দেওয়ালি ভাসাতে ঘূর্ণাসুর

দুর্গাপুজোয় ডুবিয়েছিল ঘূর্ণাসুর। এ বার কালীপুজোতেও কি সে হানা দেবে রাজ্যে? বঙ্গোপসাগরের নতুন অতিথিকে ঘিরে এমনই আশঙ্কার মেঘ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:৩২
Share: Save:

দুর্গাপুজোয় ডুবিয়েছিল ঘূর্ণাসুর।

এ বার কালীপুজোতেও কি সে হানা দেবে রাজ্যে?

বঙ্গোপসাগরের নতুন অতিথিকে ঘিরে এমনই আশঙ্কার মেঘ। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে একটি অগভীর নিম্নচাপ দানা বেধেছে। আজ সোমবার, সেই নিম্নচাপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ের চেহারাও। উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে আবহবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় হওয়ার পরে সে ছুটে যাবে মায়ানমারের দিকে। তবে মায়ানমারে ঢোকার পরে সে ফের বাঁক নিতে পারে এবং ঘুরে চলে আসতে পারে বাংলাদেশ-ভারত উপকূলে। তেমন হলে দীপাবলিতে কলকাতা এবং উপকূলীয় জেলাগুলিতে বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরের ঘূর্ণিঘড়ের নামের একটি তালিকা তৈরি করা রয়েছে। এই অঞ্চলের ৮টি দেশ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নাম দেয়। সেই অনুযায়ী এই হবু ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ‘কিয়ান্ত’ এবং সেই নাম মায়ানমারেরই দেওয়া। মৌসম ভবনের আবহবিদদের মতে, মায়ানমারের যে জায়গায় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে সেই এলাকাটি এক ফালি জায়গার মতো। দু’দিকে যার সমুদ্র। ফলে সেখানে ঘূর্ণিঝড় ঢুকে স্থলভূমি টপকে ফের সাগরের উপর এসে পড়ে এবং ঘুরে বাংলাদেশ এবং এই রাজ্যের উপকূলে চলে আসে।সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র ক্ষেত্রেও এমনই হয়েছিল। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের এক কর্তা বলছেন, আগেরটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ছিল। কিন্তু এই ঘূর্ণিঝড়টি ততটা শক্তিশালী হবে না, ফলে এর জন্ম এবং মায়ানমারের উপকূলে না-পৌঁছনো পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না। আবহবিদদের একাংশ বলছেন, এখন ঋতু বদলের জন্য সাগরের আবহাওয়া অস্থির রয়েছে। ফলে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়া ইস্তক তার মতিগতি নিশ্চিত ভাবে বোঝা যাচ্ছে না।

কালীপুজোর রোশনাইয়ে হবু ঘূর্ণাসুর কতটা প্রভাব ফেলে তা বুঝতেই এখন উপগ্রহ চিত্রে নজর রাখছে আবহাওয়া দফতর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

depression Bay of Bengal Diwali
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE