Advertisement
E-Paper

এ বার আসন পূরণে কৌশলী প্রেসিডেন্সি

গত বছর প্রেসিডেন্সিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে প্রায় ৩০০ আসন ফাঁকা থেকে গিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, কোনও পরিস্থিতিতেই যেন প্রেসিডেন্সির আসন ফাঁকা না থাকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৮ ০৪:৩৫
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

ভর্তির মেধা তালিকা তৈরি। কিন্তু ভর্তির পরে পড়ুয়ারা যদি অন্যত্র চলে যান, সেই ঝুঁকি এড়াতে আগাম সতর্ক প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরেই ভর্তি শুরু করবে প্রেসিডেন্সি।

গত বছর প্রেসিডেন্সিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে প্রায় ৩০০ আসন ফাঁকা থেকে গিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, কোনও পরিস্থিতিতেই যেন প্রেসিডেন্সির আসন ফাঁকা না থাকে। নানা মহলেও সমালোচনা শুরু হয়েছিল। শিক্ষামন্ত্রী প্রেসিডেন্সির উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়াকে ডেকে আসন পূরণ না-হওয়ার ব্যাখ্যাও চান। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো প্রেসিডেন্সিতে কোনও ভাবেই আসন ফাঁকা রাখা যাবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি।

এ বার ভর্তি নিয়ে তাই গোড়া থেকে সতর্ক কর্তৃপক্ষ। গত মে মাসে প্রবেশিকা পরীক্ষা এবং জুনের গো়ড়ায় তার ফল প্রকাশিত হয়ে গেলেও ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ নাগাদ প্রেসিডেন্সিতে ভর্তি শুরু হতে পারে। গত বছর জুনের শেষে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।

গত কয়েক বছর ধরে প্রেসিডেন্সির ভর্তি প্রক্রিয়া জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের মাধ্যমে হয়। জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের রেজিস্ট্রার দিব্যেন্দু কর বলেন, ‘‘অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ছবি সবটা পরিষ্কার হলেই প্রেসিডেন্সিতে ভর্তি নেওয়া শুরু হবে। ৭ জুলাই এ রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হবে। তার পরে প্রেসিডেন্সিতে ভর্তি নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।’’

শুধু গত বছর নয়, ২০১৬ সালেও আসন খালি ছিল প্রেসিডেন্সিতে। ২০১৭-তে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আগেভাগে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, অনেকেই প্রেসিডেন্সির পরীক্ষায় পাশ করে ভর্তি হননি। তার বদলে আইআইটি, আইএসআই-সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলে যান তাঁরা। এ বার মূলত সেই কথা মাথায় রাখা হয়েছে। গত বছর আসন ফাঁকা থাকা নিয়ে পড়ুয়াদের অভিযোগ ছিল, ছাত্র ভর্তির ‘ওয়েটিং লিস্ট’-এ কম নাম রাখা হয়েছে। তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের মধ্যে যাঁরা ভর্তি হয়েছিলেন, তাঁদেরও অনেকে ছেড়ে চলে যান। সেই সব আসন পূরণ করতে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ভাবে সক্রিয় হননি। কিন্তু মেধা তালিকার প্রথম সারিতে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা কেউ অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলে গেলে নীচের দিকে নাম থাকা পড়ুয়াদের ভর্তির সুযোগ দিতে হবে। সেই ক্ষেত্রে কি প্রেসিডেন্সির মানের সঙ্গে সমঝোতা করা হবে না? বিষয়টি নিয়ে ফোন এবং মেসেজে চেষ্টা সত্ত্বেও যোগাযোগ করা যায়নি উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়ার সঙ্গে।

Presidency College Admission Process Partha Chatterjee
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy