E-Paper

প্রাথমিকে ‘ভুয়ো ইন্টারভিউ’, লেনদেন কি ১৫ কোটির

সিবিআইয়ের সূত্রে দাবি, তাপসের বয়ানে জানা গিয়েছে যে, কুন্তল ঘোষ হাজারখানেক অযোগ্য প্রার্থীর কাছ থেকে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে দু’ থেকে তিন লক্ষ টাকা করে অগ্রিম নিয়েছিল।

শুভাশিস ঘটক

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪ ০৭:৫৩
Representative Image

—প্রতীকী ছবি।

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে বাঁকা পথে আসা প্রার্থীদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে ‘ভুয়ো ইন্টারভিউ’-এর ব্যবস্থা হয়েছিল বলে দাবি করছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের একাংশ। তাঁদের সূত্রে দাবি করা হয়েছে, শিক্ষা দফতরের আধিকারিক ও কর্মচারী সংগঠনের নেতাদের যোগসাজশে কয়েক মাস ধরে চলেছিল ওই ইন্টারভিউ। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, সম্প্রতি উঠে আসা ইন্টারভিউ-এর প্রার্থীদের নামের তালিকা মামলার পরবর্তী শুনানিতে আদালতে পেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক সন্দেহ, ভুয়ো ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।

গত সপ্তাহে বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার বিকাশ ভবনের একটি ঘর থেকে প্রচুর পরিমাণে গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। সিবিআইয়ের এক কর্তার কথায়, ‘‘২০২২ সালে ওই ঘরটি সিল করে দেওয়া হয়েছিল। ওই ঘরে নিয়োগ সংক্রান্ত নানা নথি রয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছিলেন একাধিক আধিকারিক। সম্প্রতি প্রাথমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে অযোগ্য প্রার্থীদের খোঁজ করার সূত্রেই ওই ঘরে থাকা নথি যাচাইয়ের কাজ চলছিল। আর সেখান থেকেই উঠে আসে প্রাথমিক নিয়োগের ভুয়ো ইন্টারভিউয়ের প্রার্থীদের নামের তালিকা।’’ এখনও পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজারের বেশি এমন প্রার্থীর নামের তালিকা উদ্ধার হয়েছে বলে তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি
করা হয়েছে।

ওই তদন্তকারীদের সূত্রে এ-ও দাবি, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় জেল হেফাজতে থাকা তাপস মণ্ডল ও শাসক দলের প্রাক্তন যুব নেতা কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে ‘ভুয়ো ইন্টারভিউ’য়ের সূত্র পাওয়া গিয়েছিল। তাপস ও কুন্তল প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় জেল হেফাজতে থাকা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ।

সিবিআইয়ের সূত্রে দাবি, তাপসের বয়ানে জানা গিয়েছে যে, কুন্তল ঘোষ হাজারখানেক অযোগ্য প্রার্থীর কাছ থেকে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে দু’ থেকে তিন লক্ষ টাকা করে অগ্রিম নিয়েছিল। কিন্তু চাকরির ব্যবস্থা করতে পারেনি। এর পরই শিক্ষা দফতরের একাধিক কর্তা ও কর্মী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ওই ‘ভুয়ো ইন্টারভিউ’-এর ব্যবস্থা করেছিল। ২০১৯ সালে কয়েক মাস ধরে ওই ‘ভুয়ো ইন্টারভিউ’ নেওয়া হয়েছিল। তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, তাপসের বয়ানের ভিত্তিতে কুন্তলকেও জেরা করা হয়েছে। ওই দু’জনের বয়ানের ভিত্তিতে শিক্ষা দফতরের কয়েক জন আধিকারিক ও কর্মচারীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Primary Recruitment Case CBI

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy