Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Jhargram

পুলিশ লাইনের পাঁচিলে অবরুদ্ধ হতে পারে ঝাড়গ্রামের গ্রাম, চিন্তায় বাসিন্দারা

পুলিশ লাইনের নিরাপত্তার জন্য পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। আর তা নিয়েই দেখা দিয়েছে সমস্যা।

 একটি গ্রামের সঙ্গে শহরের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে। তা অসন্তোষ তৈরি করেছে এলাকায়।

একটি গ্রামের সঙ্গে শহরের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে। তা অসন্তোষ তৈরি করেছে এলাকায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২১ ২০:৪৯
Share: Save:

পুলিশ লাইনের নিরাপত্তার জন্য পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। আর তা নিয়েই দেখা দিয়েছে সমস্যা। একটি গ্রামের সঙ্গে শহরের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে। তা অসন্তোষ তৈরি করেছে এলাকায়। ঝাড়গ্রাম জেলার শহর লাগোয়া রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের লালবাজার গ্রামের (খোয়াবগা) বাসিন্দারা প্রবল সমস্যায় পড়তে চলেছেন বলে দাবি তাঁদের। যাতে ওই রাস্তা ঘিরে না দেওয়া হয়, সে জন্য জেলাশাসক থেকে শুরু করে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন লালবাজার গ্রামের বাসিন্দারা।

১৩ টি লোধা সম্প্রদায়ের পরিবারের বাস ওই গ্রামটিতে। রাধানগর এলাকায় ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের নতুন ভবন তৈরি হয়েছে। সেখানে পুলিশ লাইন রয়েছে। রয়েছে আর্মারি সেকশন। সেই জন্যই পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরু করেছে পুলিশ। ওই পুলিশ লাইনে স্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করার পরিকল্পনাও রয়েছে প্রশাসনের। কিন্তু এই দেওয়ালের জন্য যদি রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়, তা হলে সমস্যা বাড়বে। স্থানীয় বাসিন্দারা লিখিত অভিযোগ জানালেও এখনও এর কোনও সদুত্তর মেলেনি বলেই দাবি।

এলাকার বাসিন্দা ষষ্ঠী আহির বলেন, ‘‘গ্রামে ১৯৬০ সাল থেকে তাঁদের পরিবার বসবাস করেন। সম্প্রতি পুলিশ লাইনের জন্য রাস্তা ঘিরে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে ঝাড়গ্রাম শহরে হাসপাতালে যাওয়ার কোনও রাস্তা থাকবে না। তা ছাড়া ঝাড়গ্রামের খুব কাছে থেকেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। বিকল্প রাস্তা তৈরি না করে ওই ব্যবহৃত রাস্তা ঘেরা যাবে না।’’

পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রেখা সোরেন বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ওই গ্রামে বসবাস করছেন তফসিলি সম্প্রদায়ের মানুষেরা। প্রায় ১৩টি পরিবারের ৮০ জন বসবাস করেন। পুলিশ লাইনের নিরাপত্তার কারণে পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। যার ফলে শহরের সঙ্গে যোগাযোগের সমস্যায় পড়বেন মানুষ জন। এখন নির্বাচন চলছে। বিকল্প রাস্তা না হওয়া পর্যন্ত কাজ স্থগিত রাখার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নজরেও বিষয়টি আনা হচ্ছে।’’

ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুলিশ লাইনের নিরাপত্তা প্রয়োজন। নিরাপত্তার কারণে পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। তা ছাড়া ওখানে আর্মারি সেকশন রয়েছে, হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড তৈরি করা হবে। তাই ঘিরে দেওয়া হচ্ছে। বিকল্প কোনও রাস্তা ওই গ্রামের মানুষদের জন্য করা হবে কি না তা জেলাশাসক বলতে পারবেন।’’ অন্য দিকে, জেলাশাসক জানিয়েছেন, সমস্যার কথা তিনি সরকারকে জানিয়েছেন। সমাধানে সময় লাগবে। রাতারাতি সমস্যার সমাধান করা যাবে না বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jhargram village Connection
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE