রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটি গাওয়ার জন্য অসমে কংগ্রেস নেতৃত্বকে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা-সহ বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা নিশানা করছেন। ওই গান গাওয়ায় কংগ্রেসের এক নেতার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে! এই প্রেক্ষিতে কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গে বাড়ছে প্রতিবাদের ঝাঁঝ। পথে নেমেছে সিপিএম-সহ বিভিন্ন বাম দল ও কংগ্রেস।
প্রদেশ কংগ্রেসের ডাকে সোমবার বিধাননগরে অসম ভবন ঘেরাও করেছেন নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার বলেছেন, “স্বাধীনতার লড়াইয়ের জন্য রবীন্দ্রনাথ ‘নাইট’ উপাধি ত্যাগ করেছিলেন। বিশ্বে তিনি সম্মাননীয়। বিজেপির আমলে তাঁর গান গাওয়া দেশদ্রোহ হলে, ইংরেজের দালাল বিজেপি-ই সব থেকে বড় দেশদ্রোহী!” কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন কৃষ্ণা দেবনাথ, মায়া ঘোষ, তপন আগরওয়াল, সুমন পাল, রোহন মিত্রেরা।
একই বিষয়ের প্রতিবাদে রবি ও সোমবার রাজ্য জুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চত্বরে, এলাকায় প্রতিবাদ-সভা ও মিছিল করেছে এসইউসি-র ছাত্র সংগঠন ডিএসও। গাওয়া হয়েছে ‘সোনার বাংলা’ও। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় বলেছেন, “বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের অনেক আগে বঙ্গভঙ্গের সময়ে রবীন্দ্রনাথ এই গান লিখেছিলেন। বিজেপি নেতারা গানটি নিয়ে যে মন্তব্য করছেন, তা পশ্চিমবঙ্গ ও দেশের সম্প্রীতির ঐতিহ্যের পরিপন্থী।” রাজ্য জুড়ে আজ, মঙ্গলবার প্রতিবাদ এবং ‘সোনার বাংলা’ গাওয়ার ডাক দিয়েছে এসএফআই-সহ সিপিএমের বিভিন্ন গণ-সংগঠন। ‘যাদবপুর নাগরিক সমাজ’ যাদবপুর থেকে গাঙ্গুলিবাগান পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল ও ওই গানটি গাওয়ার ডাক দিয়েছে। সেখানে থাকার কথা সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এবং বিশিষ্ট জনেদের একাংশের। প্রসঙ্গত, অসমে ওই গানটি গাওয়ায় সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। তাদের মতে, অসমের মতো সীমান্তবর্তী রাজ্য অসমে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ‘সোনার বাংলা’ গাওয়া ‘দেশদ্রোহের শামিল’!
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)