Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

ভ্যাকসিন প্রথমে ১৭ হাজারকে 

পুরুলিয়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা ভ্যাকসিন সম্পর্কে অবগত করতে সোমবার থেকে জেলা স্বাস্থ্য-কর্তাদের সঙ্গে স্বাস্থ্যভবনের ভিডিয়ো কনফারেন্সে প্রশিক্ষণ চলছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:৩০
Share: Save:

প্রথম পর্বে করোনা ভ্যাকসিন পেতে চলেছেন রোগ মোকাবিলায় প্রথম সারিতে থাকা পুরুলিয়া জেলার প্রায় ১৭ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী। পরের পর্বে পুলিশ, পুরসভার কর্মী, পুলিশ-সহ যাঁরা রাস্তায় নেমে কোভিড মোকাবিলার কাজ করছেন, তাঁরা এই ভ্যাকসিন পাবেন। সে জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। তবে কবে জেলায় ভ্যাকসিন পৌঁছবে, তা জানাতে পারেনি জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

পুরুলিয়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা ভ্যাকসিন সম্পর্কে অবগত করতে সোমবার থেকে জেলা স্বাস্থ্য-কর্তাদের সঙ্গে স্বাস্থ্যভবনের ভিডিয়ো কনফারেন্সে প্রশিক্ষণ চলছে। কী ভাবে ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করতে হবে, কী ভাবে দেওয়া হবে তা নিয়ে খুঁটিনাটি আলোচনা করা হয়। পুরুলিয়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিলকুমার দত্ত বলেন, ‘‘২-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে ভ্যাকসিন রাখতে হবে। ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ঠান্ডা করার যন্ত্রপাতির আয়োজন করা হচ্ছে।’’

পুরুলিয়া জেলায় তিনটি পুরসভা ছাড়াও, ২০টি ব্লকের আওতায় ১৭০টি পঞ্চায়েত রয়েছে। প্রতি পঞ্চায়েতের আওতায় একাধিক উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির আওতায় থাকা এএনএম এবং আশাকর্মীরা নিচুতলায় নজরদারির কাজ করছেন। এ ছাড়া, মেডিক্যাল কলেজ এবং সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের কর্মীরাও রয়েছেন।

মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, প্রথম পর্বে জেলার প্রায় ১৭ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তাঁরাই করোনা মোকাবিলায় প্রথম সারিতে থেকে কাজ করছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, ডাক্তার, নার্স, এএনএম, আশাকর্মী, অ্যাম্বুল্যান্স চালক-সহ বিভিন্ন স্তরের স্বাস্থ্যকর্মীরা। প্রথম ডোজ়ের ২৮ দিন পরে, দ্বিতীয় ডোজ় নিতে হবে।

পুরুলিয়া জেলার উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন সরকার জানান, এই ভ্যাকসিন একেবারেই নতুন। তাই স্বাস্থ্যভবনের সঙ্গে এখন জেলাস্তরের আধিকারিকদের এ নিয়ে ভিডিয়োও কনফারেন্সে প্রশিক্ষণ চলছে। এ বার ব্লক স্তরে একই ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শীত পড়লেও জেলার সংক্রমণের হার এখন নিম্নমুখী। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘বর্তমানে পুরুলিয়া জেলায় আক্রান্তের হার প্রায় ৩ শতাংশ, সুস্থতার হার ৯৬.৮ শতাংশ। পুজো বা কালীপুজোর পরে সংক্রমণ সে ভাবে এই জেলায় না ছড়ালেও ভরা শীতে কী হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।’’ স্বাস্থ্য-কর্তারা সে জন্য মাস্ক পরা অত্যন্ত জরুরি বলে জানাচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, গা ছাড়া মনোভাব বা ঢিলেমির কোনও জায়গা নেই। বাড়ির বাইরে বেরোলেই মাস্ক পরা জরুরি। দেখা যাচ্ছে, অনেকেই তা মানছেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in West Bengal COVID-19 vaccine
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE