বরযাত্রী বোঝাই বাস উল্টে মৃত্যু হল দুই ব্যক্তির। আহত হয়েছেন কুড়ি জনেরও বেশি। তাঁদের এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শনিবার রাত ১০টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে বোরো থানার বুরুডি ও ধরমপুর গ্রামের মাঝে ধরমপুর স্কুলের কাছে।
পুলিশ জানিয়েছে মৃত তাপস নন্দী (২৬) ও কমলাকান্ত দাসের (৫৬) বাড়ি ঝাড়খন্ডের সরাইকেল্লা খরসোয়া জেলার কাণ্ডরা গ্রামে। বোরো থানার জামতোড়িয়ার একটি বিয়েবাড়িতে যাচ্ছিল বাসটি। বাসে মোট ৪০ জন বরযাত্রী ছিলেন। ধরমপুর স্কুলের কাছে রাস্তায় বাঁক নেওয়ার সময় বাসের নিয়ন্ত্রণ হারান চালক। বাসটি প্রায় ১০ ফুট নীচে ধানজমিতে পড়ে উল্টে যায়। বাসের নীচে চাপা পড়েন অনেকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাপসবাবুর। স্থানীয় একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় কমলাকান্তবাবুর। আহত এক জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে ঝাড়খণ্ডের একটি হাসপাতালে ভর্তি করান তাঁর পরিজনেরা।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় পুলিশবাহিনী। ধানক্ষেত নরম থাকায় বাসের একাংশ মাটির কিছুটা ভিতরে ঢুকে গিয়েছিল। গাড়িটি তুলতে আনা হয় তিনটি যন্ত্র। আহত ১৩ জনকে বান্দোয়ান স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সাত জনকে ভর্তি করানো হয় বসন্তপুর হাসপাতালে। সেখানেই মৃত ঘোষণা করা হয় কমলাকান্তবাবুকে। পুলিশ জানিয়েছে, বাসটি উল্টে যাওয়ার পরেই ধানক্ষেতের নরম মাটিতে তাপসবাবুর মাথা ঢুকে গিয়েছিল। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি বরের জেঠতুতো ভাই ছিলেন। রবিবার দেহ দু’টি ময়না-তদন্তের জন্য পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। গাড়ির চালক পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।