ভর্তুকি পেয়েও যাঁরা গাড়ি কেনেননি, ‘গতিধারা’ প্রকল্পের আওতায় থাকা তেমন উপভোক্তাদের চিহ্নিত করে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে বীরভূম জেলা প্রশাসন।
বীরভূমের জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী বলছেন, যাঁরা ভর্তুকি নিয়ে আদৌ গাড়ি কিনেছিলেন কিনা, সেটা প্রশাসনকে জানান নি, তাঁদের প্রত্যককে নোটিশ করা হয়েছে। নোটিশ পেয়ে কিছু উপভোক্তা তাঁদের গাড়ির রেজিষ্টেশন করিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এমন অনেকে রয়েছেন যাঁরা আদৌ গাড়ি কেনেননি। তাঁদেরকে চিহ্নিত করে ভর্তুকির টাকা ফেরাতে বলা হবে। না দিলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে।
পরিবহণ শিল্পে কর্মসংস্থান বাড়াতে এবং বেকারদের স্বনির্ভর করতে ২০১৪ সালের শেষ দিকে গতিধারা প্রকল্প চালু করে রাজ্য সরকার। প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী ২৫ হাজার টাকার নীচে যে-সব পরিবারের মাসিক আয়, তারা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবে। এবং ছোট ট্যাক্সি, বাস ইত্যাদি কিনতে রাজ্য উপভোক্তাদের গাড়ির মোট দামের ৩০ শতাংশ বা সর্বাধিক এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দেবে। রাজ্য জুড়ে এই প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। কিন্তু মুশকিল হল, ভর্তুকির টাকা নিয়েও অনেকেই গাড়ি কেনেননি। তাঁদের চিহ্নিত করেই কড়া পদক্ষপের পথে জেলা প্রশাসন।
জেলা পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ১২৪টি আবেদন জমা পড়লেও, শেষ পর্যন্ত ১১৩জন বেকার যুবক ওই প্রকল্পে গাড়ি কিনতে ভর্তুকির টাকা নিয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও তাঁদের মধ্যে ৯০জনই গাড়ি কিনেছেন এমন কোনও কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দফতরকে দেখাননি। জুন মাসে ওই ৯০জনকেই নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে বলা হয়েছিল, যদি ভর্তুকি নিয়েও গাড়ি কেনার প্রমাণ না দেখাতে পারেন তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জুনের ১৫ তারিখ পর্যন্ত একটা সময়সীমা নির্দিষ্ট করেছিল প্রশাসন। জানা গিয়েছে নোটিশ পেয়ে ৫১জন তাঁদের গাড়ি কেনার কাগজপত্র দেখিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু ৩৯জন কোনও সাড়া দেননি। প্রশাসনের মত, এঁদের অনেকেই গাড়ি কেনেননি। আরও কয়েক দিন দেখেই পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক বলছেন, “মানুষের ধারণা রয়েছে, একবার সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকির টাকা পেলে সেটা নিজের। কিন্তু যে কাজের জন্য সরকার তাঁকে ভর্তুকি দিয়েছে সেই উদ্দেশ্যই তো বিফলে গেল! অথচ ওই ভর্তুকির টাকা বেকাররা পেলে কাজে লাগবে। তাই এমন সিদ্ধান্ত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy