নতুন জলাধার। —নিজস্ব চিত্র
অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত সাঁইথিয়া জলপ্রকল্পের কাজ শেষ হল। অপেক্ষা শুধু উদ্বোধনের। তার পরেই পুরবাসীর চাহিদা মতো বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়া হবে বলে দাবি করছেন পুরপ্রধান বিপ্লব দত্ত।
বর্তমানে এই শহরে পানীয় জলের একমাত্র ভরসা পুরসভার নলবাহিত জল। দিনে মাত্র দু’বার জল দেওয়া হয়। তা-ও পর্যাপ্ত নয়। ফলে বারোমাসই জল নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় পড়শিদের মধ্যে বিবাদ, তা থেকে হাতাহাতি, এমনকী থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়ানোর একাধিক নজির আছে এই শহরে। প্রতিটি পুরভোটে জল নিয়ে রাজনীতিও কম হয় না। ভোটে জিতে জল-সমস্যা দূর করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন বিভিন্ন দলের নেতা থেকে মন্ত্রী। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হতে দীর্ঘ কয়েক দশক লেগে গেল।
পুরসভা সূত্রের খবর, জল-সঙ্কট দূর করতে পুর কর্তৃপক্ষ শহরের ১৬টি ওয়ার্ডে ৭০টি সাব-মার্সিবল পাম্প বসিয়েছেন। তাতে কিছু এলাকার জল-সমস্যা সামান্য দূর হলেও সার্বিক সমস্যা রয়েই গিয়েছে। শেষমেশ জল সমস্যা মেটাতে ২০০৭ সালে তৎকালীন কংগ্রেস পরিচালিত পুরসভা ‘আর্বান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট স্কিম ফর স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম টাউন’ প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকারের নিকট আবেদন জানায়। ২০০৯ সালে প্রস্তাবিত জলপ্রকল্পের জন্য ১২.৯৯ কোটি টাকার অনুমোদন মেলে। এর ৮০ শতাংশ টাকাই কেন্দ্র, ১৫ শতাংশ রাজ্য এবং ৫ শতাংশ পুরসভার। অনুমোদন মেলার পরে পুরসভা প্রথম কিস্তির টাকা পায় ২০১২ সালে। তখন থেকেই ধী গতিতে কাজ শুরু হয়। গত পুরভোটের জন্য কাজের গতি আরও থমকে যায়। ২০১৫ সালে তৃণমূল নতুন করে বোর্ড গঠনের পরে জলপ্রকল্পর কাজ শুরু হয়। কয়েক মাসের মধ্যে ৪৫ কিলোমিটার নতুন পাইপলাইন বসানো এবং মাস দুয়েক আগে ১৫ নম্বর ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ৫,৬৭,৫০০ ও ২.২৭ লক্ষ লিটার জলধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন জলাধার তৈরির কাজও শেষ হয়েছে।
পুরপ্রধান জানিয়েছেন, প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। পুরনো ও নতুন মিলিয়ে চারটি জলাধারের মাধ্যমে আরও দু’হাজারেরও বেশি বাড়িতে নলবাহিত জলের সংযোগ দেওয়া হবে। প্রকল্পের উদ্বোধনের জন্য পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy