Advertisement
E-Paper

বিএড কলেজের কর্তা ধৃত

আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে সাঁওতালডিহির এক বেসরকারি বিএড কলেজের কর্তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার বিকেলে দেবেন মাহাতো টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (বিএড)-এর পরিচালন সমিতির সভাপতি চিত্তরঞ্জন মাহাতোকে গ্রেফতার করা হয়। আজ, সোমবার তাঁকে রঘুনাথপুর আদালতে হাজির করানো হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:২১

আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে সাঁওতালডিহির এক বেসরকারি বিএড কলেজের কর্তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার বিকেলে দেবেন মাহাতো টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (বিএড)-এর পরিচালন সমিতির সভাপতি চিত্তরঞ্জন মাহাতোকে গ্রেফতার করা হয়। আজ, সোমবার তাঁকে রঘুনাথপুর আদালতে হাজির করানো হবে।

কেন গ্রেফতার?

পুলিশের দাবি, পাহাড়িগোড়ার ওই বিএড কলেজের ১৩ জন ছাত্র গত ২৩ অগস্ট কলেজ পরিচালন সমিতির বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের লিখিত অভিযোগ জানায়। ওই ছাত্রেরা লিখিত অভিযোগে দাবি করে, বিএডে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নাম করে কলেজ কর্তৃপক্ষ লক্ষাধিক টাকা ‘ডোনেশন’ নেয়। তারপরে দু’বছর কেটে গেলেও ভর্তি করাতে পারেনি। এরপরেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে রাজ্য শিক্ষা দফতর— সব মহলে অভিযোগ জানায় পড়ুয়ারা। তারপরেই এই গ্রেফতার।

সাঁওতালডিহির এই বেসরকারি বিএড কলেজের বিরুদ্ধে অতীতেও অতিরিক্ত ছাত্রভর্তি করানোর অভিযোগ উঠেছে। সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন সময়ে এই কলেজে কর্তৃপক্ষকে বিধি মেনে ছাত্রভর্তির নির্দেশ দিয়েছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষ সেই নির্দেশ যে মানেনি এ দিনের গ্রেফতারের ঘটনায় তা স্পষ্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক সুবলচন্দ্র দে বলেন, ‘‘বেসরকারি বিএড কলেজগুলিকে সব সময়েই বিধি মেনে নির্দিষ্ট সংখ্যক আসনেই ছাত্রভর্তি করানোর জন্যে বলা হয়। কিন্তু, কিছু কলেজ সেই বিধির তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত ছাত্রভর্তি করে। গোল বাধে সেখানেই।’’ এ দিনের গ্রেফতারির পরে কলেজের কর্তৃপক্ষ সতর্ক হবেন বলে পরীক্ষা নিয়ামকের আশা।

বিএডে ছাত্রভর্তির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম ঠিক কী? কোন পথেই বা এই অনিয়ম?

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেসরকারি বিএড কলেজগুলিতে ভর্তির জন্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানায় পড়ুয়ারা। ওই আবেদনের ভিত্তিতে মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়েই কাউন্সেলিং হয়। সেই মতো নির্দিষ্ট কলেজে ভর্তি হন ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু সাঁওতালডিহির পাহাড়িগোড়ার ওই বেসরকারি বিএড কলেজের কর্তৃপক্ষ মেধা তালিকার বাইরে ইচ্ছে মতো ছাত্র ভর্তি করিয়েছিল বলে অভিযোগ। ফলে পরবর্তী সময়ে ওই অতিরিক্ত ছাত্রদের রেজিষ্ট্রেশন করানোর আবেদন খারিজ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারপরেই বিভিন্ন মহলে এবং পুলিশের কাছে কলেজ কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় পড়ুয়ারা।

দেবেন মাহাতো টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট-এর পরিচালন সমিতির সভাপতি অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগই মানতে চাননি। তাঁর দাবি, ‘‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’’

B. Ed College College Chief held fraud allegation Santaldih
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy