মুখোমুখি দুটি বাড়িতে উভয়ের বাস। উঠতে-বসতে মুখ দেখাদেখি। ওঁরা শুধু একে অপরের পড়শি নন— সম্পর্কে দেওর-বৌদি। কিন্তু, ভোটের ময়দানে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বীও। দেওর ঘাসফুলে, বৌদি পদ্মফুলে। পারিবারিক সম্পর্ক সরিয়ে রেখে এখন একে অপরকে হারাতে মরিয়া।
ছবিটা রাজনগরের ভবানীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুণ্ডীরা গ্রামের। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০ নম্বর সংসদ থেকে এ বারও শাসকদলের প্রার্থী হয়েছেন রাজনীতিতে পোড়খাওয়া বামাপদ ঘোষ। বিপক্ষের বিজেপি প্রার্থী বামাপদবাবুর মামাতো বৌদি শেফালি ঘোষ। ওই আসনে এক সিপিএম প্রার্থীও রয়েছেন। এলাকাবাসী অবশ্য তাকিয়ে দেওর-বৌদির লড়াইয়ের দিকে।
এমন ঘটনা বাংলার রাজনীতিতে নতুন নয়। বিশেষ করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এলাকার একই আসনে দুই ভাই বা দুই জা, ননদ-বৌদি, শালা-জামাইবাবুর লড়াই হামেশাই শোনা যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কাছের সম্পর্কের দু’জনকে একে অপরের মুখোমুখি লড়িয়ে দেওয়ার পিছনে কাজ করে যুযুধান দুটি বিপক্ষ রাজনৈতিক দলের ইন্ধন। রাজনগরের কুণ্ডীরা সেই তালিকায় একটি সংযোজন মাত্র। তবে বিপক্ষ প্রার্থী হওয়ায় দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্কের ফাটল দেখা দিয়েছে।