Advertisement
১৭ মে ২০২৪
কাশীপুর ব্লক অফিস

স্ক্রুটিনিতেও বাধার নালিশ বিরোধীদের

বুধবার মনোনয়ন যাচাইয়ের জন্য কাশীপুর ব্লক অফিসে গিয়েছিলেন বেকো পঞ্চায়েতের সিপিএমের ১২ জন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীরা। বেকো পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ১৫টি। তার মধ্যে সিপিএম প্রার্থী দিয়েছে ১২টি আসনে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাশীপুর শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৮ ০১:৪৩
Share: Save:

মনোনয়ন দেওয়ার সময় বিরোধীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল কাশীপুরে। স্ক্রুটনির দিন বুধবারও সেই কাশীপুরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার দাবিতে ফের সরব হলেন বিরোধীরা। এ দিন সিপিএম প্রার্থীদের ব্লক অফিস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হয়েছে বলে তাদের দাবি।

বুধবার মনোনয়ন যাচাইয়ের জন্য কাশীপুর ব্লক অফিসে গিয়েছিলেন বেকো পঞ্চায়েতের সিপিএমের ১২ জন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীরা। বেকো পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ১৫টি। তার মধ্যে সিপিএম প্রার্থী দিয়েছে ১২টি আসনে।

ওই পঞ্চায়েতের বিদায়ী সিপিএমের প্রধান কাজল ভট্টাচার্যের অভিযোগ, সকাল ১১ টার পরে স্ক্রুটিনির জন্য তাদের পঞ্চায়েতের প্রার্থীদের ডাকা হয়েছিল। বিডিও-র কাছে যাওয়ার আগেই তৃণমূলের কর্মীরা তাঁদের প্রার্থীদের আটকে দেয়। প্রতিবাদ করলে ব্লক অফিস থেকে টেনে তাঁদের বের করে দেয় তৃণমূলের কর্মীরা।

এমনকী সিপিএমের হয়ে যাঁরা মনোনয়ন করেছেন, তাওদের কয়েকজনকে তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ কাজলবাবুর। পরে কাশীপুর থানায় এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন সিপিএম নেতৃত্ব। তবে এ দিন স্ক্রুটনিতে বেকো পঞ্চায়েতের সিপিএমের প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল হয়নি।

সিপিএমের দাবি, শুক্রবার কাশীপুর ব্লকে পঞ্চায়েতের সমস্ত প্রার্থীরা মিছিলে গিয়েছিলেন। কিন্তু, সে দিন সিপিএমের দলীয় নেতাদের উপরে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় অনেকেই আহত হন। এই পঞ্চায়েতের কিছু প্রার্থীও জখম হন। তাই তৃণমূলের ‘সন্ত্রাসে’ বেকোতে বাকি তিনটি আসনে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হয়নি। কাজলবাবুর অভিযোগ, ‘‘বুধবার মনোনয়নের যাচাই এর দিন থেকেই আমাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য প্রকাশ্যেই হুমকি দিতে শুরু করেছে তৃণমূল।’’ মনোনয়ন প্রত্যাহারের আরও বেশ কিছু দিন বাকি আছে। ফলে সিপিএমের আশঙ্কা এর পরে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য তাঁদের প্রার্থীদের উপরে চাপ আরও বাড়বে।

অন্যদিকে, এ দিন সকাল থেকেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা কাশীপুর ব্লক অফিসের সামনে জমায়েত করায় আতঙ্কে তাঁরা স্ক্রুটনিতে উপস্থিত হতেই পারেরনি বলে অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি-র একটি মণ্ডলের সভাপতি মলয় মিশ্র। তাঁর অভিযোগ, ‘‘প্রশাসন স্ক্রুটনিতে কাশীপুর ব্লকে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে এ দিন হাতে গোনা কয়েকজন পুলিশ কর্মী ব্লকে ছিলেন। কোন ভরসায় ব্লক অফিসে যাব?’’ পুলিশের দাবি, যথেষ্ট পুলিশই ছিল।

তবে ব্লক কার্যালয় থেকে সিপিএমের কর্মীদের বের করে দেওয়া বা মনোনয়ন প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ মানতে চায়নি স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE