Advertisement
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Tarasankar Bandyopadhyay

Tourism: তারাশঙ্করের হাঁসুলি বাঁকে পর্যটনকেন্দ্র গড়ার উদ্যোগ বীরভূম জেলা প্রশাসনের

১৯৫৫ সালে কোপাই এবং বক্রেশ্বর নদী ঘেরা এই অঞ্চলকে নিয়ে কালজয়ী উপন্যাস লিখেছিলেন তারাশঙ্কর।

উপন্যাসের সেই হাঁসুলি বাঁক এখন এমনই।

উপন্যাসের সেই হাঁসুলি বাঁক এখন এমনই। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
লাভপুর শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২১ ১৭:৫৬
Share: Save:

সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ‘হাঁসুলী বাঁকের উপকথায়’ লিখে গিয়েছিলেন কোপাই নদীর সেই অপরূপ সৌন্দর্যের কথা। এ বার লাভপুরের সেই জায়গায় পর্যটনের উপযোগী পরিকাঠামো গড়ে তুলতে সক্রিয় হল বীরভূম জেলা প্রশাসন।

প্রকৃতির ভাঙ্গা-গড়ায় হাঁসুলি বাঁক এখনো নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে কোনওক্রমে । কিন্তু কোথাও যেন তার গরিমা ম্লান হতে বসেছে। ১৯৫৫ সালে কোপাই এবং বক্রেশ্বর নদী ঘেরা এই অঞ্চলকে নিয়ে কালজয়ী উপন্যাস লিখেছিলেন তারাশঙ্কর। কিন্তু উন্নয়নের প্রশ্নে লাভপুরের এই অঞ্চল উপেক্ষিত ছিল বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত তারাশঙ্করের জন্মভিটে থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরের হাঁসুলি বাঁকে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে উদ্যোগী হল জেলা প্রশাসন।

শনিবার হাঁসুলি বাঁক পরিদর্শনে আসেন জেলাশাসক বিধান রায়। সঙ্গে ছিলেন, স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং রাজ্য পর্যটন আধিকারিকরা । জেলাশাসক বলেন, ‘‘হাঁসুলি বাঁক প্রত্যেক বাঙালির কাছেই অত্যন্ত পরিচিত একটা নাম। এই এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা আমরা তারাশঙ্করের লেখায় পড়েছি। এ বার আমরা সেই প্রাকৃতিক শোভা মানুষকে দেখার সুযোগ করে দিতে চাই। আমাদের কিছু ভাবনাচিন্তা রয়েছে হাঁসুলি বাঁক নিয়ে।’’

এলাকার পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি নদীর ধারে নজরমিনার তৈরি এবং তারাশঙ্করের মূর্তি স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সমাজকর্মী তরুণ চক্রবর্তী শনিবার বলেন, ‘‘লাভপুর কেন্দ্রীক পর্যটন কেন্দ্র করার বিভিন্ন জায়গা রয়েছে। আমরা এই প্রাকৃতিক পরিবেশকে অক্ষুন্ন রেখে হাঁসুলি বাঁককে নতুন করে সাজিয়ে তুলতে চাই। পাশাপাশি, সাহিত্যপ্রেমী মানুষদকে হাঁসুলি বাঁক দেখার যেমন সুযোগ করে দিতে চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE