Advertisement
E-Paper

জেলা স্কুল পারলেও অন্যরা নয় কেন, প্রশ্ন

গোটা জেলা থেকে ১৪ জন মেধা তালিকায়। ৯ জনই জেলা স্কুলের। কিন্তু, প্রদীপের তলায় আঁধারের ছবিটাও যে রয়ে যাচ্ছে বাঁকুড়ায়! এত জয়জয়কারের মধ্যেও রাজ্যে সার্বিক পাশের হারের চেয়ে বাঁকুড়ার পাশের হার কমে যাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ জেলার শিক্ষামহলে। জেলার অন্য স্কুলগুলির শিক্ষা পদ্ধতিতে কোথাও ফাঁক থেকে যাচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার বলেও মনে করছেন তাঁরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৫ ০২:১৮

গোটা জেলা থেকে ১৪ জন মেধা তালিকায়। ৯ জনই জেলা স্কুলের। কিন্তু, প্রদীপের তলায় আঁধারের ছবিটাও যে রয়ে যাচ্ছে বাঁকুড়ায়! এত জয়জয়কারের মধ্যেও রাজ্যে সার্বিক পাশের হারের চেয়ে বাঁকুড়ার পাশের হার কমে যাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ জেলার শিক্ষামহলে। জেলার অন্য স্কুলগুলির শিক্ষা পদ্ধতিতে কোথাও ফাঁক থেকে যাচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার বলেও মনে করছেন তাঁরা। এ বছর মাধ্যমিকে রাজ্যে সার্বিক পাশের হার ৮৪ শতাংশ। সেখানে এই জেলায় ৭৬.৫৮ শতাংশ, রাজ্যের থেকে অন্তত আট শতাংশ কম। ১৯টি জেলার মধ্যে পাশের হার অনুযায়ী ১১তম স্থানে রয়েছে বাঁকুড়া।

জেলা স্কুল ধারাবাহিক ভাবেই ভাল ফল করে। ঘটনা হল, বিক্ষিপ্ত ভাবে বাঁকুড়া শহরের কিছু স্কুল থেকেও মাঝেমধ্যে মাধ্যমিক কিংবা উচ্চ মাধ্যমিকে কৃতী পড়ুয়াদের পাওয়া যায়। আবার জঙ্গলমহল বা অন্য গ্রামাঞ্চলের স্কুল থেকেও এক-দু’জন ছাত্রছাত্রী মেধা তালিকায় কখনও থাকেনি, এমন নয়। অতীতে একাধিক বার মাধ্যমিকে বাঁকুড়া জেলা স্কুলের পাশাপাশি নজর কেড়েছে বিষ্ণুপুর হাইস্কুল, বিষ্ণুপুর শিবদাস বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, বাঁকুড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মতো একাধিক স্কুল। এ বার প্রথম দশ জনের তালিকায় এই স্কুলগুলি থেকে কোনও নাম উঠে আসেনি। পাশের হারও রাজ্যের তুলনায় কমে গিয়েছে।

স্বাভাবিক ভাবেই জেলার শিক্ষা মহলের প্রশ্ন, জেলা স্কুল যা ধারাবাহিক ভাবে পারে, তা অন্যেরা পারে না কেন? কেন জেলার অন্য স্কুলগুলি কেন পিছিয়ে পড়ছে জেলা স্কুলের কাছে? শিক্ষা ব্যবস্থায় কোথাও কি ঘাটতি থেকে যাচ্ছে? বাঁকুড়া জেলা স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র তথা বাঁকুড়া সারদামণি গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ গুপ্ত বলেন, “প্রথম থেকেই জেলা স্কুল শিক্ষা ক্ষেত্রে ছাপ ফেলে আসছে। আজও সেই ধারা অব্যাহত। এই স্কুলের পঠন পাঠনের পদ্ধতি অন্যান্য স্কুলের থেকে আলাদা।’’ এখানেই পার্থক্য গড়ে উঠছে বলে মনে করেন তিনি। তাঁর আরও মতে, “জেলার অন্য স্কুলগুলির এ বার ভাবার সময় এসেছে। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে কী ভাবে নিজেদের আরও ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রূপে গড়ে তোলা যায়, সে বিষয়ে জেলা স্কুলের সঙ্গেও তারা আলোচনাও করতে পারে।’’ বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জেলা স্কুলের সুনাম বরাবরই রয়েছে। আমি ছোটবেলা থেকেই এই স্কুলের নাম শুনে আসছি। অন্য স্কুলগুলি কেন ওই পর্যায়ে উঠতে পারছে না, তা খতিয়ে না দেখে বলা মুশকিল। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে কোনও রকম সাহায্য তারা যদি চায় আমরা প্রস্তুত।’’

রাজ্যের তুলনায় জেলার পাশের হার কম হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয় বলে উল্লেখ করেও জেলার অন্য স্কুলগুলির শিক্ষার মান বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া দরকার বলে মনে করছেন জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) পঙ্কজ রায়ও। তাঁর কথায়, “শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও পদ্ধতিগত ত্রুটি হচ্ছে কিনা, এ বার ভাবা উচিত জেলার অন্য স্কুলগুলির।’’

— নিজস্ব চিত্র।

Bankura Madhyamik madhyamik result 2015 school student
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy